কলকাতা: অবজার্ভারের আদলে এ বার তৃণমূলে জেলাভিত্তিক কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ। পার্টির চোখ-কান হিসেবে কাজ করবেন কো-অর্ডিনেটররা, তৃণমূল সূত্র। ৩৫ টি সাংগঠনিক জেলায় শতাধিক কো-অর্ডিনেটরের নাম প্রকাশ।
জানা গিয়েছে, ব্যতিক্রম বীরভূম, এই জেলায় দায়িত্ব পালন করবে কোর কমিটি। মুখ্যমন্ত্রীর ভবানীপুর ও পুরমন্ত্রীর কলকাতা বন্দর কেন্দ্রে দায়িত্বে প্রিয়দর্শিনী হাকিম। শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র নন্দীগ্রামে কো-অর্ডিনেটর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর হাবড়া ও অশোকনগর কেন্দ্রের দায়িত্বে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জোড়াসাঁকো-চৌরঙ্গিতে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কুণাল ঘোষকে নিয়োগ।
প্রতিটি শুনানি কেন্দ্রের বাইরে ক্যাম্প করতে হবে। বসতে হবে চেয়ার টেবিল নিয়ে। এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না। গতকাল ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আজ জেলায় জেলায় দেখা গেল শুনানি কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূলের ক্যাম্পের ছবি। কোথাও বসলেন মন্ত্রী, কোথাও তৃণমূলের কাউন্সিলর তো কোথাও দেখা গেল তৃণমূলের BLA-দের।
SIR ইস্যুতে নেতা-কর্মীদের ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেওয়ার পরই, আজ ক্যাম্প চালু করল তৃণমূল। এর পাশাপাশি, BLA 2-দের শুনানিতে ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে উত্তেজনা ছড়াল জেলায় জেলায়। এই পরিস্থিতিতে CEO দফতর সূত্রে খবর, BLA 2 নিয়ে ঝামেলা হলে, সেদিনের জন্য শুনানি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
এদিকে মঙ্গলবার রাজ্যে আসছেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। হাইরাইজ বিল্ডিংয়ে বুথ করা নিয়ে হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ ছয়-সাতটি জেলার DM-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। কয়েকটি শুনানি কেন্দ্রেও যাবেন। SIR-এর শুনানির ডাক পড়লে কী করবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা? সশরীরে তাঁদেরকে কেন শুনানিতে আসতে হবে? এবার এই প্রশ্নই তুলল ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার ওয়েলফেয়ার বোর্ড। এমনকী শ্রমিকদের শুনানির জন্য আসতে হলে নির্বাচন কমিশনকে তার খরচ বহন করতে হবে বলেও দাবি তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম।