কলকাতা: কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে তৃণমূলের জমায়েত। সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা। কী অভিসন্ধি নিয়ে জমায়েত? এই প্রশ্ন তুলে মামলা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া ও পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করার অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। CRPF-কে মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামীকাল দুপুর ২টোয় শুনানির সম্ভাবনা। 


শুভেন্দুর ট্যুইট:  গোলাপ ফুল ও শুভেচ্ছা কার্ড নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে যুব তৃণমূলের বিক্ষোভ। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি ধরপাকড়ের পুরনো ভিডিও ও তাঁর বাড়ির সামনে যুব তৃণমূলের বিক্ষোভের পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা।


শুভেন্দু ট্যুইটে লেখেন, মমতার পুলিশ ৫ পয়সার মতো দু’মুখো ও অপদার্থ। কদিকে, চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক কিলোমিটার আগে তাদের আটকে, অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। অন্যদিকে, যখন আমার বাড়ির সামনে গুন্ডারা গন্ডগোল বাধায়, তখন তাদের নেতৃত্ব দেয় সেই পুলিশই। আমি বেরিয়ে যাওয়া পর তারা বাড়ির সামনে গিয়েছিল। এটা জেনেই যে, ওই সময় বাড়িতে আমার  ৮৪ বছরের বৃদ্ধ বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা গায়ত্রী অধিকারী আছেন। ওদের উদ্দেশ্য ছিল, বাড়ির বাইরে  অশ্রাব্য স্লোগান দিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে বিরক্ত করা। ট্যুইটে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। 


GET WELL SOON। শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তাঁর বাড়ির ঠিকানায় কার্ড পাঠায় তৃণমূল। সঙ্গে পাঠানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও। বিরোধী দলনেতার বাড়িতে কার্ড পৌঁছে দিতে গিয়ে কাঁথিতে পুলিশের বাধার মুখে পড়ল TMCP।  ‘শান্তিকুঞ্জ’র কাছেই অশান্তি! মুখোমুখি পুলিশ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা। শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে, তাঁকে ফুল ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো নিয়ে সোমবার এভাবেই উত্তেজনা ছড়াল কাঁথিতে। রবিবার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাজ বেঙ্গলের অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। 


যার পাল্টা হিসাবে বিরোধী দলনেতাকে ফুল, গ্রিটিংস কার্ড ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন কুণাল ঘোষ। এই কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির ঠিকানায় ফুল ও গ্রিটিংস কার্ড পাঠানো হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় কাঁথির বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শুভেন্দু। কিছুক্ষণ পরই, গ্রিটিংস কার্ড ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে অধিকারী পরিবারের বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’র কাছে পৌঁছে যান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। কার্ডে গোলাপ ফুলের ছবির সঙ্গে লেখা ছিল GET WELL SOON কিন্তু, TMCP-র সদস্যদের আটকে দেয় পুলিশ।


প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন কয়েকজন। এক ঘণ্টা পর, পুলিশই তাঁদের কাছ থেকে গ্রিটিংস কার্ড নেয়, শুভেন্দু অধিকারীকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এদিকে কলকাতা থেকেও, যুব তৃণমূলের তরফ থেকে GET WELL SOON কার্ড পাঠানো হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা তৃণমূলের এই কর্মসূচি ঘিরেও তপ্ত রাজনীতি।