অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কাটমানি (Cut Money) নেন খোদ বিডিও। এই অভিযোগ তুলে বেলদায় তাঁর অফিস ঘেরাও করলেন তৃণমূল (TMC) পরিচালিত নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষরা। বিডিও-র (BDO) অনুপস্থিতিতে তাঁর ঘরের দরজায় সেঁটে দেওয়া হল নো এন্ট্রি স্টিকার। গতকাল এই ঘটনা ঘটে নারায়ণগড়ের বিডিও-র দফতরে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, বিডিও-র সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁকে দফতরে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অফিসেই আসেননি বিডিও। তাঁর অপসারণ দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা। এই নিয়ে নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, সাড়া মেলেনি।
দরজায় সেঁটে দেওয়া হল নো এন্ট্রি পোস্টার: নারায়ণগড়ে বিডিওর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে শুরু করে কর্মাধ্যক্ষরা। বিডিওর অফিসের দরজায় সেঁটে দেওয়া হল নো এন্ট্রি পোস্টার। অবিলম্বে তাঁর অপসারণ দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা। কাটমানির সরকার চলছে সেই অভিযোগ প্রমাণিত, কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি অভিযুক্ত বিডিওর।
কাটমানি নেন বিডিও? উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কাটমানি নেন বিডিও! এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন খোদ তৃণমূল নেতারাই! বেলদায় নারায়ণগড়ের বিডিও অফিস ঘেরাও করলেন তৃণমূল পরিচালিত নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষরা। এমনকী অফিসে বিডিও না থাকায় দরজায় সেঁটে দেওয়া হল - নো এন্ট্রি স্টিকার! তৃণমূলের অভিযোগ, নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায় ভুয়ো বিল বানিয়ে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। উন্নয়নমূলক কাজে ঠিকাদারদের কাছ থেকেও কাটমানি নিচ্ছেন।
জেলাশাসককে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। অবিলম্বে বিডিওর অপসারণের দাবি তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা ও নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অনাদি বারিকের কথায়, নারায়ণগড় ব্লকের বিডিও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সরকারি ফান্ড নয়ছয় করছেন ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। উপরমহলে জানিয়ে লাভ হয়নি। ওনাকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ না করলে অফিসে ঢুকতে দেব না। ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন নেয় ।
একদিকে যখন BDO-র বিরুদ্ধে এভাবে সরব হয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে তখন রাজ্য কাটমানির সরকার চলছে বলে, কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক, গৌরীশঙ্কর অধিকারীর কথায়, দুর্নীতিগ্রস্তরা আরেক দুর্নীতিগ্রস্তর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এখন ভাগ বাটোয়ারা বন্ধ হয়েছে বলে এখন এসব করছে।
অনাদি বারিক আরও বলছেন, 'বিজেপিই সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল। কর্ণাটকে তার ফল পেয়েছে'। এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে, সেই বিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিডিও এবং মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এদিনই বিডিও-র সঙ্গে কথা বলতে তাঁর অফিসে যান জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট।