বর্ধমান: এবার ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের নিশানায় বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক। বিধায়ক-ভাতা ও স্কুল শিক্ষকের বেতন একসঙ্গে তোলার অভিযোগ। 'জানুয়ারির বেতন ৩৩হাজার ৩৬৭ টাকা বিধায়কের অ্যাকাউন্টে। ফেব্রুয়ারির বেতন প্রায় ৫০হাজার বিধায়কের অ্যাকাউন্টে', তথ্য দিয়ে দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের। অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিকের।  


এদিকে, ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ায় যখন খুশির হাওয়া প্রতিবেশী রাজ্য অসমে। তখন বকেয়া ডিএর দাবিতে এরাজ্যে ৬৫ দিন ধরে লাগাতার ধর্না অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রশ্ন, পাশের রাজ্য অসম পারলে, বাংলা পারবে না কেন? 


আন্দোলনকারীদের যুক্তি, DA দেওয়া নির্ভর করে মানসিকতার উপর। এই সরকার খেলা-মেলা করে অর্থ ব্যয় করবে, কিন্তু যাদের কাঁধে ভর করে সরকার চলছে, সেই কর্মচারীদেরই ডিএ দেবে না। এটাই মুখ্যমন্ত্রীর মানসিকতা। আগামী ৬ এপ্রিল, ফের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ও কো-অর্ডিনেশন কমিটি। আন্দোলনকারীদের দাবি, অসম সরকারের ঘোষণা বাংলার সরকারি কর্মীদের আরও বেশি আন্দোলনমুখী করে তুলবে। 


অন্যদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে অংশ নেওয়ায়, সরকারি কর্মীদের যদি একদিনের বেতন কাটা হয়, তাহলে রেডরোডে দুদিন ধর্না দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীরই বা বেতন কাটা হবে না কেন? তিনিও তো সরকারি কর্মী। এবার এই প্রশ্ন তুলল রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটি।                                                    


আরও পড়ুন, 'নেতার ছেলেকে ডাক্তারিতে সুযোগ পাইয়ে দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু'! আরও বিস্ফোরক অভিযোগ উদয়নের


বাম কর্মী সংগঠন ও সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, ডিএ-আন্দোলনে এবার থেকে একযোগে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবে তারা। মুখ্যমন্ত্রীর 'চোর-ডাকাত' মন্তব্য়ের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। কোঅর্ডিনেশন কমিটি ও  সংগ্রামী যৌথমঞ্চের দাবি, ১০ মার্চের ডিএ ধর্মঘটে যত সংখ্যক রাজ্য সরকারি কর্মী অংশ নিয়েছিলেন, ৬ এপ্রিলের কর্মবিরতিতে তার চেয়েও বেশি সংখ্যক সরকারি কর্মী অংশ নেবেন। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ৬ এপ্রিল দিল্লিতে ধর্নায় বসবে কোঅর্ডিনেশন কমিটি। ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসবেন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের এক হাজার জন্য সদস্য। ১১ তারিখই ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা।