সুজিত মণ্ডল, কমলকৃষ্ণ দে, নদিয়া : শান্তিপুর কলেজের ( Shantipur College ) প্রিন্সিপালের আসনে বসে তৃণমূল বিধায়ক। আর নিজের চেয়ার ছেড়ে পাশের সোফায় রয়েছেন প্রিন্সিপাল। বঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP) ফেসবুক পেজে এমন পোস্ট ঘিরে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক।
বঙ্গ বিজেপির ফেসবুক পেজে ( Facebook Page of West Bengal BJP) এমন পোস্ট ঘিরে বিতর্কে জড়ালেন নদিয়ার (Nadia News) শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী ( Braja Kishore Goswami )। গত সপ্তাহে শান্তিপুর কলেজে জেনারেল বডির মিটিং হয়েছিল। সেই বৈঠকেই অধ্যক্ষা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর ( Chandrima Bhattacharya) চেয়ারে বসেছিলেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। সেই ছবিই দেখা যায় বঙ্গ বিজেপির ফেসবুক পেজ-এ। বিতর্কের মুখে তৃণমূল বিধায়কের সাফাই, অধ্যক্ষার অনুরোধেই তাঁর চেয়ারে বসেছিলেন তিনি। West Bengal BJP - র ফেসবুক বিজেপির (BJP) দাবি, ' শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে রয়েছেন, আর অধ্যক্ষ তার চেয়ার ছেড়ে পাশের সোফায় বসে রয়েছেন। এটি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি চরম অবমাননাকর ঘটনা! তৃণমূলের সৌজন্যে এটাই বাংলার নতুন শিক্ষা মডেল? '
দেখুন বঙ্গ বিজেপির সেই ফেসবুক পোস্ট -
তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) দাবি, অধ্যক্ষ বারংবার তাঁকে অনুরোধ করেন। মানবিকতার স্বার্থে, তাঁর সম্মানরক্ষার্থে চেয়ারে বসেন তিনি, তাঁরই অনুমতি সাপেক্ষে। অন্যদিকে আবার অধ্যক্ষা বলছেন, ' উনি গরমে খুব ঘামছিলেন, মানবিকতার কারণে আমি ওনাকে বসতে বলেছিলাম।'
গরমে নাকি অসুস্থবোধ করছিলেন বিধায়ক। তাই তাঁকে নিজের চেয়ার ছেড়ে দেন অধ্যক্ষা। BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ' এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে সব জায়গায় তৃণমূল ঢুকে গেছে। আমরা চেয়ারটার সম্মান করতাম । প্রিন্সিপাল মান সম্মান শেষ করে পাশে বসে আছেন।'
সব মিলিয়ে প্রিন্সিপালের চেয়ারে শাসক বিধায়কের বসা ঘিরে সরগরম শান্তিপুর।