ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রার্থীর 'ঘর ওয়াপসি'। বিজেপিতে ফিরলেন বহিষ্কৃত নেতা জয়দুল হোসেন। ২০২৩ এর বিধানসভা ভোটে বক্সনগর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ভোটের আগে তাঁর সমর্থনে সভা করেছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সময়ে তাঁর ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিজেপি। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন জয়দুল। 


মেদিনীপুরে দল বদল: এর আগে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন পর্বে বিস্তর জলঘোলা চলেছে তৃণমূল থেকে বিজেপির অন্দরে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আধঘণ্টা আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ৩ জন জয়ী প্রার্থী। তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার মেদিনীপুর বিধানসভায় ঘটনাটি ঘটে। সদর ব্লকের মণিদহ ৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১০টি। বিজেপি জেতে ৭টি আসনে। তৃণমূলের জয়ী ৩ প্রার্থীর দলবদলের পর বোর্ড গঠনের আগে অ্য়াডভান্টেজ বিজেপির। তৃণমূলের প্রধান পদে মনোনয়ন নিয়ে টানাপোড়েনের জন্য দলবদল, দাবি দলত্যাগীদের। ওখানে তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাই যোগদান, প্রতিক্রিয়া। ওরা সুবিধাবাদী, দলত্যাগী জয়ী প্রার্থীদের নিশানা তৃণমূলের। 


পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে বাঁকুড়াতেও দলবদল: তৃণমূলে যোগ দেন ছাতনা ব্লকের শালডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি প্রার্থী গণেশচন্দ্র খাঁ ও একমাত্র জয়ী নির্দল প্রার্থী সৌরভ দে। শালডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পেয়েছে ৯টি আসন। বিজেপি ৪ ও নির্দল ১টি আসনে জেতে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী প্রার্থী দাবি করে, বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক উন্নয়ন না করায়, মানুষের স্বার্থে শাসকদলে যোগদান। বিজেপির কটাক্ষ, পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য করতেই তৃণমূল জোর করে দলবদল করাচ্ছে। অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ঘাসফুল শিবির। এর আগে  বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লক ও রাইপুর ব্লকেও বিরোধী শিবির ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান জয়ী প্রার্থীরা। 


ভোট মিটতেই কোচবিহারে ফের শুরু হয় দলবদল: দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক বিজেপি ও সিপিএম কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। গতকাল হ্যামিলটন বাজারে তৃণমূলের পার্টি অফিসেই যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বড় আটিয়াবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলেই রাখে তৃণমূল। এবার বিরোধী দল থেকে একঝাঁক কর্মী যোগ দেওয়ায় সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেছে শাসকদল। দলত্যাগীরা দাবি করে, উন্নয়নে সামিল হতেই তৃণমূলে যোগদান। দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বাম-বিজেপি।