কলকাতা : কেন্দ্রের নতুন পরিবহণ আইনে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায়  দেশজুড়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ট্রাক ও লরি চালকরা। আর এর প্রভাব পড়ছে সারা দেশে। কেন্দ্রীয় পরিবহণ নীতির বিরোধিতায় দেশজুড়ে ট্রাক চালকদের বিক্ষোভের আঁচ পড়ছে।  প্রভাব পড়েছে পেট্রোল পাম্পগুলিতে।


মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে দেখা দিয়েছে জ্বালানি-সঙ্কট। বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে প্রতিদিন দেড়হাজার ট্রাক ঢোকে। কিন্তু বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে আজ সকাল থেকে পেট্রোল পাম্পগুলিতে কোনও ট্রাক ঢোকেনি। ফলে পেট্রোল-ডিজেলের ভাণ্ডারে টান পড়তে শুরু করেছে। প্রায় ৫০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। নাগপুর, ইন্দোর, ধর্মশালায় পেট্রোল পাম্পগুলির সামনে গাড়ির লাইন ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। শুধু পেট্রোল পাম্প নয়, প্রভাব পড়েছে নভি মুম্বইয়ের ফল ও সব্জি বাজারেও। জোগান কমে যাওয়ায় চড়চড়িয়ে বাড়ছে দাম। পেট্রোল-ডিজেল, LPG সিলিন্ডার সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পুলিশকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।   


ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এনেছে কেন্দ্র। এই আইনে গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে নিয়মের কড়াকড়ি করা হয়েছে। বড়সড় পথ-দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলার পর, পুলিশ-প্রশাসনকে না জানিয়ে যদি চালকরা পালিয়ে যান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে হিট-অ্যান্ড-রান মামলা দায়ের হবে। সেক্ষেত্রে দোষ প্রমাণ হলে চালকদের সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা অথবা ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। কেন্দ্রের এই আইনেরই বিরোধিতা করছেন ট্রাক ও লরি চালকরা।