তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য (Tushar Kanti Bhattacharya) প্রয়াত। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
১৯৪০ সালে জন্ম তুষারকান্তির। ১৯৬৮ সালে বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরে জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বিষ্ণুপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি তৃণমূল থেকে বিষ্ণুপুর লোকসভার সভাপতি হন।
এর পর ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম-কংগ্রেস (CPM-Congress Alliance) জোটের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন এবং বিধায়ক নির্বাচিত হন তুষারকান্তি। ২০১৬ সালের ২১ জুলাই সিপিএম-কংগ্রেস জোটের হাত ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। ২০২০ সালে আবার তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপি-তে (BJP) যোগদান করেন। কিছু দিন বিজেপিতে থাকার পর ফের ওই বছরই জোড়াফুলে প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর।
বার বার দলবদল নিয়ে অতীতে একাধিক বার সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তুষারকান্তি। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ফিরে আসার সিদ্ধান্তেই সবচেয়ে বেসি কটাক্ষ শুনতে হয়। সেই সময় তুষারকান্তি জানান, অভিমানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেলর নেতাদের সঙ্গে সব মান-অভিমান মিটে গিয়েছে। তাই পুরনো সতীর্থদের কাছেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তৃণমূলে ফিরে বিজেপি-র তীব্র সমালোচনা করেন তুষারকান্তি। জানান, বিজেপি-তে তাঁকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনা হচ্ছিল না। একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় বলেন, ‘‘মানুষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) থেকে বেশি কাজ কেউ করতে পারবে না পৃথিবীতে।’’ বার্ধক্যজনিত কারণে সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েন তুষারকান্তি। তার জেরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।