অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : অনুপ্রবেশের দুই মাস পর আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হল দুই বাংলাদেশিকে। তাদের কাছ থেকে যা নথি পাওয়া গেছে সবই জাল, বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের আশ্বাসেই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বলে কটাক্ষ করেছে জেলা বিজেপি। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যবেক্ষণে সীমান্ত, ফলে সমস্ত দায় কেন্দ্রের বলে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। 


খবর পেয়ে বুধবার রাতে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম থানার অন্তর্গত দলদলি গ্রাম থেকে দুই সন্দেহভাজন যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় দুই জনেই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদের কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা দিলওয়ার হোসেন সৌরভ ও ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা মহম্মদ হৃদয় মিঞা। 


পুলিশ সূত্রে খবর, মাস দু'য়েক আগে এজেন্টের মাধ্যমে এরা ত্রিপুরা হয়ে ভারতে ঢোকে। তারপর এ রাজ্যে প্রবেশ করে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করতে থাকে। পুলিশের অনুমান, এদের উদ্দেশ্য ছিল, নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র বের করে তা দিয়ে ভিসা বানিয়ে ইউরোপের কোনও দেশে পাড়ি দেওয়া। যদিও কুমারগ্রাম থানার তৎপরতায় ধরা পড়ে যায়। 


এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, বৈধ কাগজ ছাড়া কীভাবে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে  ভারতে প্রবেশ করতে সক্ষম হল এই দুই বাংলাদেশি ? কীভাবেই বা দুই মাস ধরে তারা এরাজ্যে নিশ্চিন্তে কাটিয়েছে পুলিশের চোখ এড়িয়ে  ?


এর আগেও গ্রেফতার-


চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই জলঙ্গিতে (Jalangi) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত (Border Area) এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৮ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, প্রতি বছর জলঙ্গির ফরাজিপাড়া এলাকায় চলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেরই মানুষ।


গত বছর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ভারতে প্রবেশ করে ৮ বাংলাদেশি যুবক। এরপর তারা কেরলে কাজে যোগ দেয়। সেখানে কাজ করে ফেরার পর তারা ফের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যায় এবং বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের আটক করে বিএসএফ। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 


গতবছর জুন মাসে হাওড়া (Howrah) শহরের বুক থেকে একের পর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার হয়।  ডোমজুড় থানার পুলিশ মৌখালী শেখপাড়া থেকে রিপন হাওলাদার ওরফে রঞ্জিত মণ্ডল নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা শুরু করে পুলিশ।  ডোমজুড়ের বাঁকড়া নয়াবাজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সুমন এবং মহম্মদ মুনিরকে।