কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নতুন মোড়। এবার আচার্যের (Governor) বিরুদ্ধে আইনি নোটিস ১২ প্রাক্তন উপাচার্যের। আইনি নোটিস পাঠানো হল রাজভবনে, জানালেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। ১৫ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে । আচার্য ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি।


সংঘাতে নতুন মোড়: প্রাক্তন উপাচার্যদের সম্পর্কে তিনটি অভিযোগ তোলেন আচার্য। রাজ্যপালের বক্তব্য ছিল প্রাক্তন উপাচার্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত, রাজনীতির খেলা খেলেন। প্রাক্তন উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ছাত্রী হেনস্থার অভিযোগও তোলেন আচার্য। এই তিনটি কারণেই উপাচার্যদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যায়নি বলে ভিডিও বার্তায় জানান রাজ্যপাল। প্রাক্তন উপাচার্যদের দাবি এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। সেই কারণেই আইনি নোটিস বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। 


উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে চলতি সপ্তাহে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন সায়ন মুখোপাধ্য়ায় নামে এক ব্যক্তি। যদি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয় তাহলেও কি আদালত রাজ্যপালকে কোন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ জানাতে পারেন না? কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীকে প্রশ্ন করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায়, রাজ্যপালের দফতরের হলফনামা চেয়েছে আদালত।  আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এই ধরণের সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের কৈফিয়ত তলব করা যায় না। সময় বেঁধে দেওয়া যায় না। কিন্তু যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধও কি আদালত করতে পারে না? তখন উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী বলেন, সংবিধান রাজ্যপালসহ একাধিক সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে রক্ষকবচ দিয়েছে। তাঁরা জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। এর পাশাপাশি এদিন, মামলাকারীর পরিচয় প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী আদালতে বলেন, মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হোক। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিচয় গোপন করে তিনি মামলা করেছেন। তাই এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। তখন পাল্টা মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, একটি বিল রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার পর তিনি তিনটি কাজ করতে পারেন। প্রথমত তিনি বিলে সম্মতি জানিয়ে সই করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তিনি পরামর্শ দিয়ে বা না দিয়ে বিল পুনর্বিবেচনার জন্য বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে পারেন। তৃতীয়ত, রাষ্ট্রপতির কাছে বিল ফেরত পাঠাতে পারেন। এক্ষেত্রে রাজ্যপাল কোনওটিই করেননি। প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ১৫ জুন এই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়।এই বিল নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি রাজ্যপাল।


আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: সকাল থেকেই মুখভার আকাশের, দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তর ২৪ পরগনায়