অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভারতে (India) প্রথম নদীর (Under Water Metro) নীচ দিয়ে মেট্রো ছুটবে হাওড়া (howrah) ও কলকাতার (kolkata) মধ্যে। তার জন্য ইতিমধ্যেই গঙ্গার নীচে তৈরি হয়েছে দু-দু'টি সুড়ঙ্গ! সব কিছু ঠিক থাকলে, ভবিষ্যতে মেট্রোর মতো, গঙ্গার নীচ দিয়ে চলবে পণ্যবাহী গাড়িও। এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কী হতে চলেছে?
দিনে দিনে কলকাতায় বাড়ছে গাড়ির চাপ!! যানজটে নাকাল হতে হয় শহরবাসীকে!! বিশেষ করে কলকাতা বন্দর থেকে পণ্যবাহী গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করায়, এই ব্রিজের উপরও চাপ বাড়ছে। এই সমস্ত কথা ভেবেই, গঙ্গার নীচে শুধুমাত্র পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াতের জন্য আরও একটি সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তার জন্য ইতিমধ্যে একটি সংস্থাকে DETAILED PROJECT REPORT বা DPR তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কলকাতা বন্দরের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ডক থেকে গঙ্গার তলা দিয়ে সেই সুড়ঙ্গের রাস্তা যাবে কোন জায়গায়? এর জন্য ২টি বিকল্প জায়গার কথা ভেবে রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কী হতে চলছে?
আপাতত যা শোনা যাচ্ছে, কলকাতা বন্দর থেকে একটি শালিমার অথবা শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে উঠতে পারে। তবে DPR তৈরির পরই তা চূড়ান্ত হবে। শুরু হবে মাটি পরীক্ষার কাজ। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহি বলেন, 'ডিপিআর তৈরি হয়ে গেলে কলকাতা পুরসভা, কেএমডিএ, রেলের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত হবে।' গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো ছুটলে, তা হবে কলকাতার মুকুটে আরেকটি পালক!! তারপর কি একইভাবে নদীর নীচ দিয়ে ছুটবে গাড়িও? আবার ইতিহাস গড়বে কলকাতা? অপেক্ষায় আছেন রাজ্যবাসী। প্রসঙ্গত, কখনও টানেলে ধস, কখনও মাটিতে ফাটল, তার জেরে বাড়িতেও ফাটল, নানা সময় নানা কারণে বউবাজারে বারবার থমকে গিয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। এবার ফেরে বাধা কাটিয়ে বউবাজারে শুরু হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল আপাতত সেখানকার টানেলের কংক্রিট বেড তৈরির কাজ শেষ করা হবে। ওই কাজের আগেই সর্তকতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওই এলাকার ৪৫ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হোটেলে। প্রথমে ২০১৯ সালে, তারপর ২০২২ সালে মে মাস ও অক্টোবর মাসে পরপর দুর্ঘটনা ঘটে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে। বউবাজারে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলার সময় ওই বিপর্যয় ঘটেছিল। ফাটল ধরেছিল একাধিক বাড়িতে। ভেঙেও গিয়েছিল কিছু বাড়ি। ওই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায়। কাজ বন্ধ হয়ে যায়, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন থমকে থাকার পরে অবশেষে বৃহস্পতিবার শুরু হল ওই এলাকায় মেট্রোর কাজ।
আরও পড়ুন:অসুস্থ শরীর, আসানসোল জেল হাসপাতালে আনা হল অনুব্রতকে