কলকাতা: কোভিড পর্ব থেকে শুরু করে এযাবৎকালে বিপদে-আপদে ঠিক কত চাকরি (Employment)দেওয়া হয়েছে রাজ্যবাসীকে, লোকসভা ভোটের আগে থেকে মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এদিন স্পষ্ট বলেন, 'বাংলায় বেকারত্ব কমেছে'।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, কোভিড হল না গাইডলাইনস দেয় ! কোভিড হলে রাস্তায় নামে ? নাকি হাসপাতালে-হাসপাতালে ঘোরে ? নাকি গরীব লোকের ঘরে ঘরে ঘোরে ? কটাক্ষের স্বরে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার সংযোজন আপনাদের মনে নেই, আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে, প্রচার করে সচেতনতা বাড়িয়ে কীভাবে মানুষকে অ্যাডজাস্ট করেছিলাম। আপনাদের প্রেসেরও লোক মারা গিয়েছেন, বন্ধুরা। তাঁদেরও আমি সাহায্য করেছি। আমার নিজের পরিবারেরও দুই জন মারা গিয়েছেন।... আমাদের অফিসার, আমাদের পুলিশরা মারা গিয়েছেন। অনেকেই মারা গিয়েছেন। কাউকেই আমি বঞ্চিত করিনি। কেএলও ছেড়ে যারা চলে এসেছেন, সবাইকে আমি চাকরি দিয়েছি, স্পেশাল হোমগার্ডের।'
তিনি আরও বলেন, 'আগে যারা বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁদেরও আমি চাকরি দিয়েছি।ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় কয়েকহাজার হোমগার্ড-পুলিশ চাকরি পেয়েছেন।চাকরির সংখ্যাটা কম নয়, আপনাদের আমি লিস্ট দিয়ে দেব। আমাদের শুধু MSME সেক্টরেই ১ কোটি ১৫ লক্ষ লোক কাজ পেয়েছে। বাদবাকি সব যুক্ত করেই আমি সব দেব। আর যারা বড়বড় কথা বলছে, তাঁদের থোথা মুখ, আমি ভোঁতা করে দেব বলে এদিন হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বিশ্লেষণ করে বলেন, তার কারণ, সেন্ট্রাল গভমেন্টে মনে রাখবেন, ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। আর আমাদের এখানে ৪০ শতাংশ দারিদ্রতা কমেছে। তাই ১০০ দিনের কাজ ওরা বন্ধ করে দিয়েছে ?' কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে পাল্টা নিশানা করে প্রশ্ন ছুঁড়লেন মমতা।
আরও পড়ুন, 'ওরা সবচেয়ে বড় চোর', BJP-কে নিশানা মমতার
এদিন তিনি আরও বলেন, 'দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। আমার রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স হেরিটেজ এলাকা, ভাঙতে দেব না। মেট্রোর কাজের জন্য আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স ভাঙতে বলা হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকে হাত দিলে বিবেকানন্দ, রাসমণিকে মনে করতে হবে। মেট্রোর প্রতিটা প্রকল্প আমার করা। আমি না থাকলে দিল্লি মেট্রো হত না। রেলে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস আমার করা। জোকা-তারাতলা মেট্রো আমার করা। হাত দিচ্ছে কোথায়? ওদের ঔদ্ধত্য দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ম্যাপ নিয়ে বসলে হবে না, এলাকা পরিদর্শনের পর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রুট বদলাতে হলে অনেক জায়গা আছে, আমাকে বলুন, আমি দেব। কয়েকদিন পরে কালীঘাট ভাঙো, শুনব না। সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, কিন্তু হেরিটেজ ধ্বংস করতে দেব না।'