আবির দত্ত, কলকাতা: রবিবাসরীয় শহরে হঠাৎ চাঞ্চল্য। মুকুন্দপুরে (mukundapur) বাইপাসের (bypass) ধারে ঝিল (pond) থেকে উদ্ধার মহিলার (woman) মৃতদেহ (body)। সকালে ঝিলে দেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত মহিলার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
কী জানা গেল?
সকালবেলার দিকেই ঝিলে ভাসমান দেহটি নজরে আসে স্থানীয়দের। তবে এলাকাবাসীর দাবি, মৃতা তাঁদের এলাকার বাসিন্দা কেউ নন। গত কাল থেকে বাইরের কাউকে সে ভাবে হাঁটতেও দেখা যায়নি ঝিলের ধারে, আরও জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। তা হলে কে এই মহিলা? পরিচয় জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে আপাতত পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। জলে ডুবে মৃত্যু নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত মার্চে পাটুলি থানার অন্তর্গত একটি ঝিল থেকে এভাবেই এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায়।
আগেও এক ঘটনা...
মার্চের ওই ঘটনায় যে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়েছিল,তাঁর নাম মিতা মুখোপাধ্যায়। সেখানেও স্থানীয়রাই তাঁর দেহ ঝিলে দেহ পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। পুলিশেও খবর দেন তাঁরাই। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশি তদন্তে জানা যায় বাড়ি থেকে প্রাতঃ ভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন বৃদ্ধা। কীভাবে ঝিলে পড়ে মৃত্যু হল বৃদ্ধার তদন্ত করে পুলিশ। তার আগে, গত অক্টোবরে, বারুইপুরে এক তরুণ ঝিলের জলে ডুবে তলিয়ে যায়। তবে সে বার সেলফির নেশাই মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে এনেছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, ৩ বন্ধু মিলে ঝিল পাড়ে সেলফি তুলছিল। হঠাৎ করেই জলে পড়ে যায় তিলজলার এক তরুণ। এলাকার লোকজন জাল ফেলে মৃত ওই তরুণকে উদ্ধার করে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।
কিন্তু এদিন মুকুন্দপুরে যা ঘটেছে, তা কি বারুইপুরের মতোই কোনও দুর্ঘটনা? নাকি পিছনে অন্য কোনও গল্প রয়েছে? এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলে হয়তো কিছুটা স্পষ্ট হবে ছবি। মৃতার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আরও কিছু তথ্য মিললে জানা যাবে, বাস্তবটা আসলে কী?
আরও পড়ুন:মহালয়ায় শুভেন্দু- দিলীপের ছবিতে মালা দিয়ে বাবুঘাটে তর্পণ মদন মিত্রের