সন্দীপ সরকার, ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : বাজেটে, ক্য়ানসারের তিনটি জীবনদায়ী ওষুধের দামের উপর সমপূর্ণ শুল্কছাড়ের প্রস্তাব দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। যে তিনটি ক্যানসারের ওষুধের উপর থেকে শুল্কছাড় দেওয়া হল তার মধ্যে একটি ব্রেস্ট ক্যানসার নিরাময়ের, আরেকটি ফুসফুসের ক্যানসার সারাতে দেওয়া হয়। অন্য়দিকে প্লাস্টিকজাত জিনিসের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য় কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর। পূর্ণাঙ্গ বাজেটে, তিনটি জীবনদায়ী ওষুধের দামের উপর সমপূর্ণ শুল্কছাড়ের প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ওষুধগুলি হল Trastuzumab deruxtecan, Osimertinib এবং Durvalumab।
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ দীপ্তেন্দ্র সরকার জানালেন, 'ক্যানসারের তিনটে জীবনদায়ী ওষুধ, আমাদের দেশে তৈরি হয় না। আমদানি করি। তিনটেইঅত্যন্ত দামী ওষুধ। এর কাস্টম ডিউটি তুলে নেওয়া মানে হল, সরাসরি দাম কমবে এইসব ওষুধের। '
চিকিৎসকরা বলছেন, যে তিনটি ক্যানসারের ওষুধের উপর থেকে শুল্কছাড় দেওয়া হল তার মধ্যে, প্রথম ওষুধটি ব্রেস্ট ক্যানসার নিরাময়ের জন্য। ওই ইঞ্জেকশনের একটি ভায়ালের দাম ১১ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফুসফুসের ক্যানসার সারাতে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ওষুধটি। 'ওসিমার্টিনিবে'র ৩০টি ট্যাবলেটের একটা স্ট্রিপের দাম ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০ থেকে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। 'ডুরভালুমব' ওষুধটি গলব্লাডার ও খাদ্যনালীর ক্যানসার নিরাময়ের জন্য। ওই ইঞ্জেকশনের একটি ভায়ালের দাম ১ লক্ষ ৫৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন :
মাথার ভিতরে প্রাণঘাতী অ্যামিবা, নিশ্চিত মৃত্যু-মুখ থেকে ফিরল কেরলের কিশোর, কী সেই মারণরোগ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
এই পদক্ষেপের প্রশংসা এসেছে বিরোধী শিবির থেকেও। 'ক্যানসার ও জীবনদায়ী ওষুধে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেটা প্রশংসনীয়। ভাল। এটা আমাদের সকলের দাবি ছিল' বলেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
ক্যানসারের ওষুধের পাশাপাশি বাজেটে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্য়বহৃত এক্স-রে মেশিনের যন্ত্রাংশের শুল্কছাড়ের প্রস্তাব রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বাজেট ভাষণে নির্মলা সীতারমণ বলেন, 'মেডিক্যাল এক্স-রে মেশিনে ব্যবহৃত এক্স-রে টিউব ও ফ্ল্যাট প্যানেল ডিটেক্টরের উপর থেকে শুল্কছাড়ের (BCD) প্রস্তাব দিয়েছি। দেশীয় প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা যন্ত্রাংশগুলি এই ছাড়ের আওতায় পড়বে।'
এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতবছর যেখানে স্বাস্থ্যখাতে ৮০ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, এবার সেখানে ৯০ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্য়দিকে, প্লাস্টিকজাত জিনিসের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
নির্মলা সীতারমণের মতে, 'প্লাস্টিক, পিভিসি ফ্লেক্স, ব্যানার, যা পচনশীল নয় এবং পরিবেশের জন্য় অস্বাস্থ্য়কর, সেই সব দ্রব্য়ের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিচ্ছি'। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ওপরও সাড়ে ৭ থেকে ১০ শতাংশ কর বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন :