সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: সংস্কারের অভাবে বেহাল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুর বাসস্ট্যান্ড। শৌচাগার থেকে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দুর্বিসহ অবস্থা। খানাখন্দে ভরা বাসস্ট্যান্ড চত্বর। এ নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রী থেকে বাস মালিক-কর্মীদের মধ্যে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।


শেড আছে, কিন্তু ভেঙে পড়তে পারে যে কোনও সময়। প্রতীক্ষালয় পথ কুকুরের আস্তানা। শৌচালয়ে পরিষ্কার হয় না বহুদিন, ভাঙা দরজাও। নর্দমায় উপচে আবর্জনা, খানাখন্দে ভরা চত্বর। ভয়াবহ এই ছবি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুর বাস স্ট্যান্ডের। সংস্কারের অভাবে বেহাল। আর তা নিয়েই ক্ষোভ যাত্রী থেকে বাস মালিক-কর্মীদের মধ্যে।


মল্লিকা হেমব্রম নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন, বাথরুমে ঢোকা যায় না, পরিষ্কার করা দরকার। পুরসভা ব্যবস্থা নিলে সকলেরই উপকার হয়। মহাত্মা গান্ধী রোডের ধারে ২০ বছর আগে বেসরকারি বাস চলাচলে গড়ে ওঠে রায়গঞ্জ পুর বাসস্ট্যান্ড।


প্রতিদিন বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি অসংখ্য ছোট রুটের বাস-মিনিবাস যাতায়াত করে এই স্ট্যান্ড থেকেই। বাস ছাড়াও ট্রেকার, অটো যাত্রী মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ রোজের যাতায়াত করেন এখান দিয়ে। এত গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য, বৃষ্টি হলে জমা জলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।


কৌশিক সেন নামে আরেক যাত্রীর কথায়, আমরা ট্যাক্স দিই উন্নয়নের জন্য। কিন্তু এখানে তো কোনও পরিকাঠামোই নেই।' অভিযোগ, পুরসভায় বারবার জানিয়েও হয়নি সুরাহা।


উত্তর দিনাজপুর বাস ও মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক বলেছেন, যাত্রী শেড ভেঙে যে কোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটবে। শৌচাগারে ঢোকা যায় না। পানীয় জল নেই। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। পুরসভাকে একাধিকবার জানিয়েছি। ব্যবস্থা নেয়নি


রায়গঞ্জ পুরসভা পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাসের কথায়, ২০১৭ সালে রায়গঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে  আদিবাসী আন্দোলনে ভাঙচুর হয়েছিল রায়গঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ড। করোনার আবহে আর্থিক সঙ্কটের কারনে সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত বাসস্ট্যান্ডের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আশ্বাস কবে বাস্তবায়িত হয়, সেই অপেক্ষায় সকলে।