উত্তর দিনাজপুর:  রক্ষকই ভক্ষক ? ভিনরাজ্যের ট্রাক থেকে তোলাবাজির অভিযোগ ডালখোলা থানার পুলিশের (Dalkhali Police Station) বিরুদ্ধে। বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও ডালখোলায় ট্রাক থেকে তোলাবাজির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।'মাসিক সাড়ে ৪ হাজার টাকার চুক্তি না করলে ট্রাকচালককে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি' , ট্রাকচালকের দেওয়া ভিডিও রেকর্ডিং দেখে স্তম্ভিত বিচারপতি (Justice Joy Sengupta)।


'পুলিশ থানায় বসে রেট ঠিক করে দিচ্ছে! আশ্চর্য!'


বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন বিস্ময়প্রকাশ করে বলেছেন, 'এটা কী হচ্ছে! একটা থানার জন্য এত টাকা ! এটা থানা না পণবন্দি করে রাখার জায়গা? পুলিশ থানায় বসে রেট ঠিক করে দিচ্ছে! আশ্চর্য!'। রাজ্য পুলিশের থেকে তদন্তভার সিআইডি-কে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের নামও তলব করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।


তোলাবাজির অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার


প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মার্চ মাসে তোলাবাজির অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। তার জেরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ালেন ব্যবসায়ীরা। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে তোলাবাজিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন দলেরই স্থানীয় নেতা। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন অঞ্চল সভাপতি। তোলাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ীদের অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমার বেধেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে গিয়েছিল ব্যবসায়ীদের। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালাতে হয়েছিল পুলিশকে। এই ঘটনার জেরেই প্রকাশ্য়ে এসেছিল তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ।


তোলা না দেওয়ায় চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতীরা


বারুইপুরের সূর্যপুর হাটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তোলা না দেওয়ায় তাঁদের ওপর চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বারুইপুরের সূর্যপুর হাটের ব্যবলায়ী রবিউল নস্কর বলেছিলেন, 'ছুরি, মেশিন নিয়ে এসেছিল। আমরা তোলা দিইনি বলে হামলা করেছে।' তার প্রতিবাদে কুলপি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।


আরও পড়ুন, 'অনেক বড় কিছু ঘটবে..', TMC-কে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত সুকান্তর ?


জুলাই মাসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল বরানগর থানার (Baranagar Police Station) পুলিশ। ধৃতের নাম ভিকি সাউ। তার বিরুদ্ধে বরানগর থানায় তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অভিযোগকারীর থেকে তোলা চাওয়ার সেই ভিডিও এসেছে এবিপি আনন্দের হাতে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের দাবি, বরানগরের আলমবাজার এলাকার বাসিন্দা ভিকি, পুলিশের পরিচয় ভাঁড়িয়ে তোলাবাজি করছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরই তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।