বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে মৃত্যু হল ২ শিশুর। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শিশু ভর্তি করা হয়, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। একই উপসর্গ নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি মোট ৬৮ জন শিশু।
ফের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শিশু মৃত্যু অব্যাহত। সেই একই উপসর্গ। জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। আর তাতেই মৃত্যু হল ফুটফুটে ২ শিশু। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একমাসে ৮ শিশুর মৃত্যু, ফলে বাড়ছে উদ্বেগ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় ওই ২ শিশুকে। ১ শিশুর বয়স ১বছর ১৩ দিন। অপরজনের বয়স ১মাস ৪দিন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দুজন মারা গেছে। জ্বর-শ্বাসকষ্টের কারণেই মৃত্যু। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে ২৪ জন শিশুকে। বর্তমানে ৬৮ জন শিশু জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সব মিলিয়ে শিশুদের পরপর অসুস্থতার ঘটনায় ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ।
গতকাল জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরও তিনজন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদের মধ্যে দুজনের বয়স ছিল দেড় মাসেরও কম। আরও এক জনের বয়স ছিল মাত্র নয় মাস। কিছুদিন আগেই জ্বরে আক্রান্ত আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পাঁচমাসের গৌর মণ্ডলের বাড়ি মোথাবাড়ির বাঙ্গিটোলা এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিল ওই শিশু। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরের দিনই মৃত্যু হয় সেই শিশুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ২২৪ জন শিশু ভর্তি হয়েছে অজানা জ্বরের উপসর্গ নিয়ে। কাটোয়ার পাশাপাশি কালনা মহকুমা হাসপাতালেও গত সপ্তাহে ভর্তি হয় প্রায় সতেরোশোরও বেশি শিশু। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশুই অজানা জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিন এই পরিমাণ শিশু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় শিশু বিভাগের বেডও ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে বেডের আকাল দেখা দেওয়ায় এক একটা বেডে তিন থেকে চারজন শিশুকে রাখতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল। এমনকি কাটোয়া হাসপাতালে বেড না পাওয়া যাওয়ায় বেশ কিছু শিশুকে মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দু থেকে আড়াই বছরের শিশুরা জ্বর এবং ঠান্ডা লাগার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করার সময়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে করোনা পরীক্ষাও করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও শিশুরই করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসেনি। করোনা পরীক্ষা ছাড়াও ডেঙ্গু টেস্ট ও রক্তের প্লেটলেট টেস্টও করা হচ্ছে শিশুদের।
আরও পড়ুন: West Midnapur: প্রবল বৃষ্টিতে চন্দ্রকোনায় মাটির দেওয়াল ধসে মৃত্যু গৃহবধূর
আরও পড়ুন: Bhabanipur Bypoll: ভবানীপুরকাণ্ডে দিল্লিতে কমিশনে অভিযোগ বিজেপির প্রতিনিধি দলের