সন্দীপ সরকার, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে (JU Hostel) ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, জানালেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য (Jadavpur University VC) বুদ্ধদেব সাউ। ইতিমধ্যেই ৮-৯ জন আবাসিক আক্রান্ত, বক্তব্য তাঁর। এহেন পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাস করানো যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে, আরও জানান অন্তর্বর্তী উপাচার্য।


কী বললেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য?
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, কয়েকদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। সে দিন বেশ কয়েটি বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দাঁড়িয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অতীন। অপরিচ্ছন্নতার পরিবেশ সর্বত্র,মন্তব্য করেন ডেপুটি মেয়র। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জানান, গত কাল অর্থাৎ সোমবার রাজ্যপাল তথা আচার্যের সঙ্গে বৈঠকেও সিভি আনন্দ বোস এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ডেঙ্গি পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে যাদবপুরের ছবিটা কী, সেটি জানতে চান রাজ্যপাল বোস। হস্টেলের আবাসিক ৭-৮ জন পড়ুয়া ডেঙ্গি-আক্রান্ত হয়েছেন, এ কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের বক্তব্য। হস্টেলে যেহেতু ডেঙ্গি ছড়িয়েছে, তাই এরকম একটা পরিস্থিতিতে আরও ঝুঁকি নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। হস্টেলের মেডিক্যাল সুপার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছেন, আবাসিকদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কারণ বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে হস্টেল খালি করে দেওয়া দরকার। কিন্তু সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের কী হবে?  আপাতত সূত্রের খবর, অনলাইনে পঠনপাঠনের ফেরত যাওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তা হলে কি সব পড়ুয়াই অনলাইনে লেখাপড়া করবেন? ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জানালেন, আজ, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। 'হাইব্রিড' মডেলে পঠনপাঠনের কথা ভাবা হচ্ছে। অর্থাৎ যে আবাসিক পড়ুয়ারা বাড়ি চলে যাবেন, তাঁদের অনলাইনে লেখাপড়া করানো যায় কিনা, সেটাই দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়নি। তবে একথা সত্যি যে যাদবপুরের যা পরিকাঠামো তাতে আরও বেশি সংখ্যক পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়লে সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে। সেই ভাবনা থেকেই হস্টেল খালি করা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।


ডেঙ্গি মোকাবিলায় 'ব্যর্থতা' নিয়ে বিক্ষোভ...
এদিনই আবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্য়র্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে শুভেন্দু অধিকারীর বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম বাধে। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্মারকলিপি দিতে বাধা দিলে পুলিশকে ধমক দেন তাঁরা। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই মুহূর্তে করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। এর পরেও বাংলা একমাত্র রাজ্য যারা ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেয়নি। কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ কোটি টাকাও আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন। 


আরও পড়ুন:পুজোর মুখে ভাঙনের কবলে মানিকচকের ঈশ্বরটৌলা গ্রাম , চাষের জমি থেকে গাছপালা তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে