কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে ফের সংঘাতে আচার্য তথা রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankhar)। ‘শিক্ষাতেও শাসকের আইন, আইনের শাসন নয়। বেআইনিভাবে ২৪টি (এখন ২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে বলে ট্যুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শনিবার জগদীপ ধনকড় (Governor Jagdeep Dhankhar) ট্য়ুইট লেখেন, ‘নেওয়া হয়নি আচার্যর অনুমোদন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তীকে দু’দফায় নিয়োগ। ৪ বছরের পূর্ণ সময়ের জন্য দু’দফায় নিয়োগ করা হয়েছে বাছাই ছাড়াই। ১৭ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠির পরও কোনও জবাব মেলেনি।’
উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) দাবি, ‘২৮ অগাস্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করে সোনালি চক্রবর্তীকে নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা স্বজনপোষণের অনন্য নজির। ১৬ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।' পাশাপাশি ব্রাত্য বসু কোনও জবাব দেননি বলেও অভিযোগ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের।
এর আগে রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) মনোনীত উপাচার্যকে (Vice-Chancellor) বদলে দেয় সরকার (Government)। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বেনজির সংঘাত অব্যাহত। ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Diamond Harbor Women's University) উপাচার্য নিয়োগে সংঘাত। রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে নতুন উপাচার্য নিয়োগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন তপন মণ্ডলকে উপাচার্য মনোনীত করেন রাজ্যপাল। খারিজ করে সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপাচার্যের দায়িত্ব দিল সরকার। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়ে দাবি রাজ্য সরকার সূত্রে দাবি, রাজ্যপাল মনোনীত উপাচার্য পদে থাকতে চান না তপন মণ্ডল। আচার্যকে আক্রমণ করে এদিন ট্যুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি লেখেন, “মনোনীত আচার্যকে এখনও বলব তৃতীয়বারের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। যুদ্ধংদেহী মনোভাব শিক্ষা দফতরের উপর চাপাবেন না।'
পাশাপাশি রাজ্যপাল ডাকা সত্ত্বেও মুখ্যসচিব ও ডিজি রাজভবনে না আসায় ফের ট্যুইটারে সরব হয়েছিলেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhakhar)। এদিন তিনি ট্যুইটারে লেখেন, ‘মুখ্যসচিব ও ডিজি ফের রাজ্যপালের ডাকা বৈঠক বয়কট করেছেন। তিনদিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করার উদাহরণ। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শাসকের আইন চলছে, আইনের শাসন নয়। ’