কলকাতা: ছাত্র ধর্মঘটের দিন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। গেট থেকে পুলিশের ধরপাকড়ের অভিযোগ AIDSO-র আন্দোলনকারীদের। থানায় নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগের সরব AIDSO। 

যাদবপুরকাণ্ডে ছাত্রদের করা মামলায় বুধবারই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই দিনই পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হল SUCI-এর ছাত্র সংগঠন AIDSO। মেদিনীপুর মহিলা থানার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ উঠে এল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ প্রাক্তনীর কথায়।  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে পড়ে পড়ুয়া জখম হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল SFI। AIDSO সূত্রে দাবি, সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়ে ওই দিন পথে নেমেছিলেন, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রাক্তনী AIDSO-র অভিযোগ, ক্যাম্পাসের কাছে পৌঁছনোর অনেক আগেই তাঁদের আন্দোলনকারীদের জবরদস্তি থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। 

এদিন AIDSO সমর্থক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সুশ্রীতা সোরেন বলেন,  "আমি যখন আমার নাম, পরিচয় লিখছি, ওসি বলল, মোমবাতি নিয়ে এসো। মোমবাতি তারা (পুলিশ) নিয়ে এসে সেটাকে জ্বালিয়ে, সেই মোমবাতির জ্বলন্ত যে মোম, সেটা আমার হাতে ঢেলে দেওয়া হয় এবং পায়ের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। এই য়ে হাতের এখানে মোমবাতির মোম ঢেলে দেওয়া হয়েছে। এখনও সেই চিহ্ন আছে।এই ভাবে আমাকে মারতে থাকে। থানার ওসি বলছেন, "আমাদের এই থানার অনেক বড় জায়গা আছে, যেখানে তোমাদেরকে মেরে পুঁতে দিলেও কিন্তু কেউ কোনও খোঁজ পাবে না। এই রকমভাবে আমাদের থ্রেট দেয়।"

এদিন AIDSO-র তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে যে সব ভয়ঙ্কর অভিযোগ করা হয়েছে, তার মধ্যে সিসি ক্যামেরার নজরদারির বাইরে নিয়ে অত্যাচারের অভিযোগও রয়েছে।  সুশ্রীতা জানান, "আবার আমাকে সিসিটিভির আওতার বাইরের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, যে তোমরা এই যে কাজটা করেছো, এটা তোমরা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইবে। শান্তিপূর্ণভাবেই গিয়েছিলাম। কোনও পুলিশের ওপরেও আক্রমণ করিনি, গায়ে হাত তুলিনি। তা ছাড়া কোনও ছাত্রকেও জোরজবরদস্তি আমরা করিনি যে, ক্লাস করতে হবে না। কোনও অন্যায় কাজ করিনি। কেন আমাদের ক্ষমা চাইতে হবে।''

আরও পড়ুন: Maha Kumbh Missing Case: কুম্ভ স্নান করতে গিয়ে নিখোঁজ, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ মল্লারপুরের পরিবার