শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নদীর চর (River Bank Ownership) দখল ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল ঝড়খালিতে (Jharkhali Incident)। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের মারধর অভিযোগ করেছেন শাসকদলের কর্মীরা (Villagers Beaten By TMC)। নির্দিষ্ট করে বললে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী বিধানসভা ঝড়খালি নফরগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।


কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, ঝড়খালি কোস্টাল থানার নফরগঞ্জ দিনদার ঘেরি এলাকার বাসিন্দারা বাম আমল থেকে নদীর চরে বসবাস করছেন। বাম আমলেই তাঁদের ১০ কাটা করে জমির পাট্টা‌ দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ওই ১০ কাটার পর অতিরিক্ত যে জায়গা রয়েছে, তার জন্য তাঁদের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে টাকা দিতে হবে বলে চাপ দেওয়া হয়। টাকা না দিলে সেই জায়গা জোর করে দখল করে নেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল, এমনই অভিযোগ তাঁদের। এতেই শেষ নয়। আজ, বৃহস্পতিবার, সেই জায়গা জোর করে দখল করতে যায় শাসকদলের লোকজন। বাধা দিতে এসেছিলেন গ্রামবাসীরা। এরপরই দু'পক্ষের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সে সময়ই গ্রামবাসীদের মারধর করে শাসক দলের লোকজন। দু'তরফেরই বেশ কয়েকজন এই ঘটনায় জখম হয়েছেন বলে খবর। 


কী দাবি তৃণমূলের?
শাসকদলের দাবি, গ্রামবাসীদের দশ কাটা পাট্টার পর যে অতিরিক্ত জায়গা রয়েছে সেটি সরকারি খাস জায়গা। সেই জায়গায় নফরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ম্যানগ্রোভ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেন। পাল্টা তাঁদেরই মারধর করা হয় বলে দাবি। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায় ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাচক্রে, এদিনই  পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানা এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে সরকারি জমি লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রির অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় য়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বেআইনি নির্মাণ আটকাতে হয় জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে। তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে শাসক দল। গত মে মাসে আবার সরকারি জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে গড়ে তোলার অভিযোগে হইচই শুরু হয়েছিল। খোদ সল্টলেকের এ-ই ব্লকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল। তবে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছিলেন, পার্টি অফিস নয়। অস্থায়ী ঘরে দলীয় কাজে ব্যবহৃত জিনিস রাখা হয়।


আরও পড়ুন:'বেআইনি নির্মাণকারীকে নেতাজি ইন্ডোরে পাওয়া যাবে', লিলুয়ার এক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের