ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) পড়ুয়া আন্দোলন অব্যাহত। উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে, তাঁরই বাড়ির সামনে ধর্নামঞ্চে আন্দোলন করছেন পড়ুয়ারা (Bidyut Chakraborty)। আজ আন্দোলন পড়ল অষ্টম দিনে। এদিকে, পড়ুয়া-আন্দোলনকে সমর্থন করার অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে, এক অধ্যাপককে।


বিশ্বভারতীতে আট দিন ধরে চলছে পড়ুয়াদের আন্দোলন


গত ২৩ নভেম্বরে বিশ্বভারতীতে (Santiniketan) আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা। বুধবার ছিল সেই ছাত্র আন্দোলনের অষ্টমতম দিন। উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীর সরকারি বাসভবনের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে ধর্নায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা।  এ দিকে, আন্দোলন সমর্থন করার অভিযোগে, শোকজ করা হয়েছে এক অধ্যাপককে (Students Protest)।


উপাচার্যর পদত্যাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সহ একাধিক দাবিতে, গত বুধবার, ২৩ তারিখ, আন্দোলন শুরু করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। দফায় দফায় ঘেরাও করা হয় উপাচার্যকে। 


পড়ুয়াদের অভিযোগ, ঘেরাও থাকাকালীন, নিরাপত্তারক্ষীকে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে, গুলি চালানোর নির্দেশ দেন উপাচার্য। এর পরই, উপাচার্য, বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীর সরকারি বাসভবনের সামনে, অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে, আন্দোলনে বসেন পড়ুয়ারা। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক...আবেগঘন লেখায় জীবনের ‘চরৈবেতি মন্ত্র’ জানালেন মমতা


আন্দোলনে শামিল, বিশ্বভারতীর গবেষক পড়ুয়া মীনাক্ষী ভট্টাটার্য বলেন, "আমাদের ৮ দিন হল। রেজাল্ট প্রকাশ। স্কলারশিপ। পৌষমেলা মেলার মাঠেই ফিরিয় আনতে হবে। ছাত্রদের হেনস্থা করা যাবে না।" দাবি দাওয়া না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। 


বিশ্বভারতীর পড়ুয়া সোমনাথ সৌ বলেন, "আন্দোলন ৮ দিনে পড়ল। অবস্থান চলছে.. চালিয়ে যাব। আন্দোলন ভাঙার জন্য ভয় দেখাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীর মূল মোটিভ ব্যক্তিগত জীবন নষ্ট করে দেওয়া। তারই নমুনা আমরা দেখতে পেলাম।" 


এ দিকে, আন্দোলনকারীদের সমর্থন করার অভিযোগে, বিশ্বভারতী অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফার সভাপতি, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাঁকে কারণ দেখাতে বলা হয়েছে। 


ছাত্র-আন্দোলনে সমর্থন জানানোয় শোকজ অধ্যাপককে!


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি তথা অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, "ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা। আমি নাকি উস্কানি দিয়েছি। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে, অ্যাডাল্ট। তাঁদের কীকরে উস্কানি দিতে পারি। যাঁদের নীতি আদর্শ অন্যের থেকে আলাদা। আমি ছাড়াও অনেক অধ্যাপক ছিলেন। আশ্রমের পিতা উপাচার্য.. তিনি বলেছেন, সন্তানসম ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়ে দাও। এটা শুনে আমি আর ঠিক থাকতে পারিনি। বিবেকের তারণায় এসেছিলাম।" পড়ুয়া-বিক্ষোভের জেরে, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কড়া নিরাপত্তা।  মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।