আবীর ইসলাম, বোলপুর: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর মন্তব্য নিয়ে একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, যার সত্যতা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি। ওই ভাইরাল ভিডিওতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘বিশ্বভারতী আজ পশ্চিমবঙ্গ ভারতী বা বোলপুর ভারতী হয়ে গেছে। এটা হতে দেওয়া হবে না।’


এই মন্তব্যের মাধ্যমে নাম না করে রাজ্য সরকারকেই কটাক্ষ করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, এই অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের একাংশের। রাজ্যের মন্ত্রী ও বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার কটাক্ষ, ‘বিশ্বভারতী চালাতে ব্যর্থ হয়ে উপাচার্য এই সব বলছেন।’


উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে। উপাচার্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, অধ্যাপকদের শান্তিনিকেতন থেকে গিয়ে রামগড়ের ক্যাম্পাসকে দাঁড় করানোর দায়িত্ব নিতে হবে। 


গত বছরের অগাস্টের শেষদিকে বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের আন্দোলন শুরু হয়। বাড়িতে আটকে পড়েন উপাচার্য। তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনের জেরে তাঁর বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছচ্ছে না। নিরাপত্তার অভাবের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লেখেন উপাচার্য। 


এর কয়েকদিন আগেই উপাচার্যের বাংলো ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত বলেছেন, ‘ভিসির বাংলো ঘেরাও করা হবে। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ঘেরাও হবে। এবার ওঁর পাগলামো ছাড়িয়ে দেব।’


পাল্টা বীরভূমের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলের কাজই বিশ্বভারতীতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। এরা রবীন্দ্র ঐতিহ্যের কথা বলে গুন্ডামি করে।’


বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করে বিশ্বভারতী। সাসপেন্ড করা হয় তিন অধ্যাপককেও। এরপর বিশ্বভারতীর দুই অধ্যাপক এবং এক ছাত্র অনুব্রতর বাড়িতে যান। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে আন্দোলন শুরুর কথা বলেন তাঁরা। তারপরই উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি দেন অনুব্রত মণ্ডল। 


পাল্টা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার অনুব্রতকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘উনি বিভিন্ন জনকে নিয়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে থাকেন। একজন উপাচার্যকে নিয়ে এমন মন্তব্য ঠিক নয়।’