আবির ইসলাম, বীরভূম : ফের ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্বভারতী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ পাঠভবনের পড়ুয়াদের। পরীক্ষা না দেওয়ার ডাক দিয়ে ভাষাবিদ্যা ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের পড়ুয়াদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, কাউকে আটকানো হয়নি।
পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে পরীক্ষাকেন্দ্রের গেট আটকে বিক্ষোভ ঘিরে অশান্তি চরমে ওঠে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পারায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান অভিভাবকদের একাংশ। পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা ও মাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ছিল। পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের পড়ুয়াদের একাংশ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। আর এই নিয়ে আন্দোলন নিয়ে দুই মত অভিভাবকদের। একপক্ষ পরীক্ষা বয়কটের পক্ষে থাকলেও, অপর পক্ষ তা মানেননি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান অভিভাবকদের একাংশ। বিদ্যুর চট্টোপাধ্যায় নামে এক অভিভাবক জানালেন, 'আমরা চাইছি পরীক্ষা হোক, অ্যাডমিট মেনে নেওয়ার সময় বোঝানো হয় পরীক্ষার পক্ষে। এত অভিভাবক পরীক্ষার পক্ষে। গুটি কয়েক ছাত্রছাত্রী ঢুকতে দিচ্ছে না।'
আবার অপর এক অভিভাবকের বক্তব্য, ছাত্রদের পাশে আছি। ওরা দাবি করছে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক। কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে না।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও, তিনি ফোন তোলেননি। পাশাপাশি, তিনদফা দাবিতে ২২ দিন ধরে চলছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের আন্দোলন।
পড়ুয়া বিক্ষোভের মধ্যেই বিশ্বভারতীতে গত ১৬ মার্চ ইস্তফা দেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। গতকাল রাতে ৩০ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হন পদত্যাগী রেজিস্ট্রার, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক সহ কয়েকজন অধ্যাপক। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, পরীক্ষা বয়কট চলছে, চলবে। অধ্যাপক ও আধিকারিকরা ঘেরাওমুক্ত হলেও, পরীক্ষা বয়কট চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।