জয়ন্ত পাল, কলকাতা: স্কুলে এবার নীল-সাদা পোশাক। পড়ুয়াদের ইউনিফর্মে থাকবে বিশ্ববাংলার লোগো। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সোমবার সকালে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ স্কুলের পোশাকে বিশ্ব বাংলা লোগো নিয়ে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 


কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? 


বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির কথায়, কেন্দ্র সরকারের পয়সায় এই প্রকল্প চালানো হচ্ছে আর তা দলের নামে প্রচার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প যারা পেয়েছেন সেই পরিবারকেও প্রচারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছিলেন। সরকারি পয়সা দলের প্রচারের একটা উদাহরণ তৃণমূল করে দেখাচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়েও রাজনীতির প্রচার করানো হচ্ছে। 


প্রসঙ্গত, চলতি বছরে নতুন করে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে পড়ুয়াদের পোশাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকী ইউনিফর্মে বিশ্ব বাংলার লোগো ব্যবহারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশ মতো ‘ক্ষুদ্র, মাঝারি কুটির শিল্প এবং বস্ত্র দফতর’ স্কুল পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক তৈরি করে সরবরাহ করবে। প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের দেওয়া হবে সাদা জামা ও নীল ফ্রক। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ সাদা জামা ও নীল স্কার্ট। আর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম ছাত্রীদের দেওয়া হবে নীল-সাদা সালোয়ার কামিজ ও দোপাট্টা।


এদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে আজ ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি-র নজরে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "মাথা উঁচু করে জেলে যান উনি। যাদের আপাতমস্তক দুর্নীতির কালি লেগে আছে কোন কিছু বাদ নেই তাঁদের। মুখে বড়বড় কথা সাজে না।" পাশাপাশি তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় দেরিতে ফরেন্সিক পৌঁছানো নিয়ে বলেন, বিরোধী শূন্য যে রাজনীতি শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব তারই উদাহরণ। বিরোধীদের জন্য কোন তদন্ত হয় না। আমাদের ২০০-এর বেশি কর্মকর্তা মারা গিয়েছেন তাদের নিয়ে কোন তদন্ত হয়নি। কেউ গ্রেফতার হয়নি। কেউ সাজা পায়নি। সরকার পুলিশকেও রাজনীতির প্রচারে লাগাচ্ছে। প্রশাসনের সমস্ত যন্ত্রকে পার্টির রাজনীতিতে লাগাচ্ছে। বিরোধীদের কোন সুরক্ষা নেই, সম্মান নেই।"