কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: এই প্রথম রাজ্যের বাইরে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে হচ্ছে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। ৪৫ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত উত্তরাখণ্ড সরকারের, এমনটাই খবর। জমি দানের অনুমোদন উত্তরাখণ্ড মন্ত্রিসভার। জুলাই থেকেই পঠন পাঠন শুরু, জানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। কেন্দ্রের কাছে ১৫০ কোটি টাকা অনুদান চাইল বিশ্বভারতী।
বিশ্বভারতী মানেই রবিঠাকুরের একরাশ স্মৃতি। আর শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলা থেকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরণ। সেই বিশ্ববিদ্যালয় বীরভূম ছাড়িয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এবার ভিন রাজ্য উত্তরাখণ্ডে। উত্তরাখণ্ড সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে , ৪৪.৪৬ একর জমি। রাজ্যের বাইরে, রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের যাত্রা পর্ব শুরু করার পরিকল্পনা জুলাইয়ে জানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, জমি চেয়েছিলাম, জুলাইয়ে ৫ টা স্কুল শুরু করব, ল্যাঙ্গুয়েজ, রুরাল ডেভেলপমেন্ট। মোদির ইচ্ছেতে পাবলিক পলিসি নিয়ে ক্লাস। সূত্রের খবর, হিমালয়ের কোলে উত্তরাখণ্ডে এই ৪৫ একর জমিতে নতুন ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ শুরু করতে ১৫০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে চেয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিছুদিনের মধ্যেই, এই অনুদান আসার কথা। ২০১৯ সাল থেকেই বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ার উদ্যোগ পর্ব শুরু। শেষমেশ মিলল সরকারিভাবে জমির অনুমোদন।
আরও পড়ুন, মুম্বইয়ের টাটা ক্যানসার হাসপাতালের সঙ্গে জোড়া মউ রাজ্যের, জানালেন মমতা
উত্তরাখণ্ডের যে রামগড়ে এই ক্যাম্পাস গড়ে উঠবে, সেই জায়গাটা বাঙালির কাছে অচেনা নয়। ঠাকুর পরিবার এই রামগড়েই একটা বাংলো বাড়ি কিনেছিল। তাকে ঘিরে সেখানকার প্রায় ১০ একর জমি এখনও বিশ্বভারতীর মালিকানাধীন। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং পরিবারের লোকজনকে নিয়ে রামগড়ে কাটিয়েছেন । রবি ঠাকুরের শেষের কবিতার লাবন্যের বিয়ে হয়েছিল এই রামগড়েই। একাধিক ঘটনা, গান, কবিতা জন্ম দিয়েছে পাহাড় ঘেঁষা এই বাংলো বাড়ি। সেই জায়গা এবং উত্তরাঘণ্ড সরকারের দেওয়া জায়গা মিলিয়ে মোট ৫৫ একর জমির ওপর গড়ে উঠবে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস।