রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর : রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। আর বিশ্বকর্মা পুজো মানেই কলকাতার আকাশ ঢাকে রঙিন ঘুড়িতে। তবে সেই ঘুড়ির সুতোর মাঞ্জায় অনেক সময়েই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় বাইক চালকদের। এবার সেই দুর্ঘটনা রুখতে অভিযান শুরু করল পুলিশ । বিধাননগর দক্ষিণ থানা থেকে সায়েন্সসিটি গামী বাইপাসে বাইক আরোহীদের বিপদ রুখতে আশপাশের এলাকায় চিনা মাঞ্জার খোঁজে বিধাননগর দক্ষিণ থানার অভিযান। বিশ্বকর্মা পুজোয় যাতে চিনা মাঞ্জার অবৈধ ব্যবহারে হ্রাস টানা যায় তার জন্যে বৃহস্পতিবার সল্টলেকের বেশ কিছু জায়গায় হানা দেয় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। সুকান্তনগর, দত্তাবাদ সহ একাধিক জায়গার ঘুড়ি ব্যবসায়ীদের চিনা মাঞ্জা বিক্রির ক্ষেত্রে হ্রাস টানতে আজ বিভিন্ন দোকান গুলিতে ঘুরে দেখে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। পাশাপাশি সতর্ক করা হয় ব্যবসায়ীদের। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন যাতে চিনা মাঞ্জা ব্যবহার না হয় তাই দিনভর টহলদারি এবং নজরদারি চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যেই মারণ মাঞ্জার বিপদ রুখতে, মা ফ্লাইওভারের ওপর শুরু হয়েছে বেষ্টনী দেওয়ার কাজ। তার মাঝেই, উড়ালপুলে ফের মাঞ্জা-সুতোয় ঘটে দুর্ঘটনা। গত ১২ সেপ্টেম্বর আহত হন এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। রূপম সাহা নামে এই সার্জেন্ট পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার সকালে, পার্কসার্কাস থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়ার সময় আচমকা, মাঞ্জা সুতো তাঁর গলায় জড়িয়ে যায়। জখম হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসেরর ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর, দুর্ঘটনা কমাতে, ফ্লাইওভারের দু’দিকে ফেন্সিং দেওয়ার কাজ শুরু করেছে KMDA। এর জন্য, ২২ তারিখ পর্যন্ত, রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ মা উড়ালপুলের ওপর যান চলাচল।
সূত্রের খবর, গত ৩ মাসে মা ফ্লাইওভারের ওপর, চিনা মাঞ্জায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাইক আরোহী। কেউ মাঞ্জা সুতোয় জড়িয়ে পিছলে পড়ে যান। কারও নাক মুখ কেটে যায়... গুরুতর আঘাত লাগে। দুর্ঘটনা কমাতে, ফ্লাইওভারের দু’দিকে ফেন্সিং দেওয়ার পরিকল্পনা করে KMDA। এর আগে, পরীক্ষামূলকভাবে কিছু অংশে বেরিয়ার দেওয়া হয়। এবার, টেন্ডার ডেকে, শুরু হল ফেন্সিং লাগানোর কাজ। সায়েন্স সিটি থেকে পার্ক সার্কাসমুখী লেনের বাঁদিক ঘেঁষে, ফ্লাইওভারের ৯০০ মিটারের ধারে, বসানো হচ্ছে বেষ্টনী।