কলকাতা: নির্বাচন মিটে গিয়েছে ঢের আগেই। কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ (Post Poll Violence Allegation) নিয়ে টানাপড়েন চলছেই। তথ্য-প্রমাণের অভিযোগে খুন, ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির ২১টি মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে এক দিন আগেই হাই কোর্টে (Calcutta High Court) উঠে এসেছিল। কিন্তু  রাত গড়াতেই একেবারে অন্য অবস্থান। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) দাবি, কোনও মামলা তুলে নেওয়া বা ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।


ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার রিপোর্টে খুন, ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission of India/NHRC)। কিন্তু তদন্তে নেমে এর মধ্যে ২১টি অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে সম্প্রতি সিবিআই সূত্রে খবর আসে। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে সিবিআই আইনজীবী বিষয়টি তুলে ধরেন এবং ওই ২১টি মামলা বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন বলে জানা যায়।


সেই নিয়ে শোরগোল পড়তেই মঙ্গলবার সিবিআই-এর তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, কোনও মামলা ফেরানো বা তুলে নেওয়া হয়নি। এ দিন সিবিআই জানায়, হাই কোর্টের নির্দেশে খুন, ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর বাইরে মারপিট এবং ছোটখাটো ঝামেলার মামলা রয়েছে একাধিক। সেগুলির তদন্তভারই সিটকে দেওয়া হয়েছে। তথ্য-প্রমাণের অভাবে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি এবং খুনের মামলা ফিরিয়ে দেওয়ার খবর একেবারে অসত্য বলে জানিয়েছে সিবিআই।


আরও পড়ুন: WB Corona: পরপর চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর সংক্রমণে পরিষেবা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ


সিবিআই জানিয়েছে, খুন, ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির ৫০টি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে তারা। তবে সিবিআই-এর এই দাবিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল  (TMC) সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। তিনি বলেন, “ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে কাজ করছে। আদালতে মিথ্যা রিপোর্ট জমা দিয়েছে কমিশন। বিজেপি-র সংক্রিয় সদস্যরাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে বসে রয়েছেন। ওই সংস্থা থাকার মানে নেই। এখনই মানবাধিকার কমিশন ভেঙে দেওয়া উচিত।” ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। বলেও সিবিআই-কে কটাক্ষ করেন তিনি।


কিন্তু রাজ্য বিজেপি-র (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বক্তব্য, “সুখেন্দুশেখর আইনের লোক। মানবাধিকার কমিশন ভেঙে দেওয়া যায় কি না, নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেই এমন মন্তব্য করেছেন উনি। ধর্ষণের ঘটনায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্যাতনের শিকার মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করতে হয়। বাংলার পুলিশ তৃণমূলের কথায় ওঠে বসে। তারা তা করেনি। তাই প্রমাণ অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাংলার পুলিশকেই আগে সরানো উচিত।”