কোচবিহার: মাথাভাঙায় ভোটার তালিকায় 'ভূতুড়ে' ভোটার। হাতে ভোটার কার্ড, তালিকায় নেই নাম ! উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দার নামে ওই মহিলার এপিক নম্বর। সোমা বর্মনের দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি শেষবার ভোট দিয়েছিলেন।



ভূতুড়ে ভোটার খুঁজে দিলেই এবার মিলবে পুরস্কার ! কর্মিসভা থেকে ঘোষণা দার্জিলিংয়ের তৃণমূল নেত্রীর।  যে যত ভুয়ো ভোটার খুঁজে দেবে, তাঁকেই দেওয়া হবে পুরস্কার ! কর্মিসভায় ভূতুড়ে ভোটার খুঁজতে 'উপহারের' ঘোষণা দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূল নেত্রী পাপিয়া ঘোষের। ভূতুড়ে ভোটারের খোঁজ দিলে কী ধরণের পুরস্কার মিলবে, তা জানাননি তৃণমূল নেত্রী পাপিয়া ঘোষ।


'বাংলা দখল করতে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছে বিজেপি। তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে হরিয়ানা, রাজস্থান, বিহার, পাঞ্জাবের বাসিন্দাদের নাম।' নেতাজি ইন্ডোরে দলের সাংগঠনিক বৈঠক থেকে সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কারচুপির অভিযোগে কাঠগড়ায় তুললেন নির্বাচন কমিশনকে।ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুললেন, মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে। ভুয়ো ভোটার খুঁজতে কমিটি গড়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা চেয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। 


মুখ্য়মন্ত্রী  মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, একই এপিক নম্বরে বাংলার ভোটারের যেখানে নাম আছে, সেখানে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, বিহার, সব নাম ঢুকিয়েছে। রাজ্য়সভার সাংসদ  বিজেপি নেতা  শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপিও বদ্ধপরিকর পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্ন করতে।'তেনাদে'র নিয়ে তরজা আরও তুঙ্গে। নেতাজি ইন্ডোরের মেগা সাংগঠনিক বৈঠক থেকে ফের একবার বাংলার ভোটার তালিকায় ভিন রাজ্য় থেকে ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগ জোরালভাবে তুললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।


সরকার যার, কারচুপির ক্ষমতা তো তার। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে পাল্টা খোঁচা দিয়ে মন্তব্য় অধীর চৌধুরীর। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, 'যাদের সরকার তাদের দায়িত্ব এটা। কারচুপি করার ক্ষমতা তাদের আছে, যাদের সরকার, বিজেপির যেখানে সরকার, বিজেপি  সেখানে তারা কারচুপি করে। পশ্চিমবঙ্গ যাদের সরকার তারা কারচুপি করছে।' 


আরও পড়ুন, ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বার ইস্যু '৩ মাসের মধ্যে সমাধান' ! আশ্বাস জাতীয় নির্বাচন কমিশনের


ভূতুড়ে ভোটার বিতর্কের মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের (Election Commission OF India )। ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বার ইস্যু '৩ মাসের মধ্যে সমাধান' ! আশ্বাস জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।  জাতীয় নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১০০ জনেরও অধীক ভোটারের উপর সমীক্ষা (Sample Enquiry ) চালিয়ে দেখা গিয়েছে যে, ওই একশো জনের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বার রয়েছে যাদের, তাঁরাই আসলে প্রকৃত ভোটার। কমিশন আরও জানিয়েছে, ২০০০ সালে রাজ্য/ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে এপিক সিরিজ (EPIC Series) বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে, কিছু ERO সঠিক সিরিজ ব্যবহার করেননি।'