হাওড়া: অভিযান শুরুর আগেই আটক হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এ বার হাওড়ায় ধর্নায় বসলেন বিজেপি-র (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সাঁতরাগাছি(Santragachi) হয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul), সৌমিত্র খাঁয়েরাও। কিন্তু নবান্নের ধারেকাছে পৌঁছনোর আগেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। তার পর মুহূর্তের মধ্যে ধুন্ধুমার বেধে যায়। 


সাঁতরাগাছিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধর্নায় বিজেপি নেতৃত্ব


সাঁতরাগাছিতে প্রথমে ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকরা। তা তুলতে না পেরে, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের কিয়স্ক। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি উড়ে আসতে দেখা যায় গোটা, আধলা ইট। গাছের ডাল, লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন তাঁরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি, ইট, কাঠ উড়ে এল যেমন। তেমনই  জলকামান দেগে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দেখা গেল পুলিশকে। তাতেই কলকাতার পরিস্থিতিকে কার্যতই ছাপিয়ে গেল হাওড়ার সাঁতরাগাছি।  


প্রয়োজনে ব্যবহার করতে আগে থেকেই সেখানে  জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, বজ্র ভ্যান রাখা ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখে এর পর জলকামান দাগতে শুরু করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জও করা হয়। কাঁদানে গ্য়াসের শেল ফাটিয়ে পিছু হটানোর চেষ্টা করা হয় বিক্ষোভকারীদের। তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার বদলে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সাঁতরাগাছি। 


আরও পড়ুন: BJP Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে যাওয়ার পথে আটক শুভেন্দু, তোলা হল প্রিজন ভ্যানে


এর পর রাস্তার উপরই ধর্নায় বসে পড়েন সুকান্ত, অগ্নিমিত্রারা। অগ্নিমিত্রা বলেন, “বাগুইআটিতে দুই ছেলে খুন হল, খুনিদের ধরতে পারে না পুলিশ। আর আমরা বাংলার মানুষের হয়ে প্রতিবাদ করছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নেতৃত্বে কোটি কোটি টাকা চুরি করছেন, আর পুলিশ এসে বলছে আমাদের রাজ্য সভাপতিকে গ্রেফতার করবে। আমরা বলেছি, আপনি কে, চিনি না। আপনি ক্যাডার হতে পারেন তৃণমূলের। আমরা বলেছি, সিপিকে ডাকুন। উনি না এলে আমরা উঠছি।”


মমতাকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর


বিজেপি-র নবান্ন অভিযানের দিন মেদিনীপুরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে এ দিন কটাক্ষও ছুড়ে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, "ব্য়ারিকেডের উপর চেষ্টা করলে আমাকে নিশানা করেই প্রথম জলকামান চালানো হয়। এমন ভাবে চালানো হয় আমার ঘাড়ে চেষ্টা করে। আমার সেক্রেটারি ব্যথা কমানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু এ ভাবে সম্ভব নয়। ডাক্তার দেখাতে হবে। এখানে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। বিজেপি-র সংখ্যা দেখে ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই পালিয়ে গিয়েছেন। বুঝতে পেরেছিলেন, কত মানুষ আসবেন। আজ যত মানুষ এসেছেন, তা আমাদের মোট লোকের ৩০ শতাংশ।"