কলকাতা: দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না, বিক্ষোভ ঘিরে পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে। সেই আবহে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এখন নামেই। পিছন থেকে সরকার চালান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এর পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল (TMC)।


কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে, অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লিতে কর্মসূচি চলছে তৃণমূলের। তার পাল্টা বঙ্গ বিজেপি-র (BJP) সাংসদদের নিয়েও পাল্টা বৈঠক হয়েছে। সেখানেই এমন কৌশলী মন্তব্য করলেন সুকান্ত। তাঁর বক্তব্য,"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নামেই। পিছন থেকে সরকার চালান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।"


রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত সোমবার বলেন, "BDO মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অধীনে কাজ করছেন। এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা পরিচালিত হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নামেই আছেন, পিছন থেকে সরকার চালান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।" এর পাল্টা অভিষেক বলেন, "যেমন নরেন্দ্র মোদি নামেই আছেন, আসলে সরকার চালান অমিত শাহ। সেভাবেই ভাবছেন ওঁরা।"



আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee : 'একটাও রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করা হয়নি, ধাক্কাধাক্কি করে তুলে দিল দিল্লি পুলিশ' বললেন অভিষেক

করোনা- কালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার মডেল হোক বা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, অভিষেকের নির্দেশে নদিয়ার চাকদা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা পঞ্চায়েতের প্রধানের ইস্তফা দেওয়া, অভিষেকের বিরুদ্ধে বার বার, পিছন থেকে সরকার চালানোর অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এবার তৃণমূলের দিল্লি-কর্মসূচির মধ্যেই একই অভিযোগ তুলল বিজেপি।

দিল্লির রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্নায় নীরব অবস্থানের মধ্য দিয়ে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। তাকে ঘিরে সোমবার হুলস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজধানীর বুকে। ধাক্কাধাক্কি, লাঠিয়ে উঁচিয়ে পুলিশের তেড়ে যাওয়ার দৃশ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।

যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। তাদের প্রশ্ন,  রাজঘাটে সোমবার যা হল তাও কি বিজেপি-তৃণমূলের সেটিং নয়?
পুরোটাই কি পরিকল্পিত চিত্রনাট্য়? অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে বাড়তি মাইলেজ পাইয়ে দিতেই বিজেপিরই আরও এক চেষ্টা? সেই কারণেই কি ধাক্কাধাক্কি-ধুন্ধুমার-উত্তেজনা? বকলমে যাতে লোকসভা ভোটে তৃণমূল-বিজেপি দু-দলেরই লাভ হয়?


এই গোটা ঘটনায় তপ্ত রাজনীতি। তার মধ্যেই তৃণমূলের তরফে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়েছে। দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, অভিষেককে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমি সঙ্গে ছিলাম। আমি দেখেছি। ওর উপর যেভাবে হামলার চেষ্টা হয়েছে, সেটা লজ্জাজনক। এই সরকারকে ধিক্কার। আমরা হতবাক।" যদিও রাজনৈতকি স্বার্থেই সুদীপ এই স্তাবকতা করছেন বলে পাল্টা কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।