কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত চলছেই। তারই মধ্য়ে নতুন করে নারদকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। নারদকাণ্ডে ম্যাথ্যু স্যামুয়েলকে ফের নোটিস পাঠিয়েছে তারা। সোমবার সকাল ১০.৩০টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই আবহেই এবার সিবিআই-এর দফতর ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিল সিপিএম। 


আগামী ৫ অক্টোবর সিবিআই দফতর ঘেরাও করবে সিপিএম। তাদের দাবি, অযথা মামলা ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। সক্রিয় হতে হবে সিবিআইকে। অবিলম্বে দুর্নীর মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে হবে সিবিআই-কে। গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবি নিয়েই সিবিআই-এর দফতর ঘেরাওয়ের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সিপিএম। 


সিপিএম-এর রাজ্য কমিটির বৈঠক ছিল মঙ্গলবার। সেখানেই ৫ অক্টোবর সিবিআই-এর দফতর ঘেরাওয়ের কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। আলোচনায় বলা হয়েছে, দিনের পর দিন মামলাগুলি ঝুলে রয়েছে। যেভাবে তদন্ত চালানো উচিত, সিবিআই সেভাবে তদন্ত চালাচ্ছে না। কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যদিও, কিন্তু মাথাদের কাছে হাত পৌঁছচ্ছে না সিবিআই-এর।


আরও পড়ুন: Nusrat Jahan: ৬ ঘণ্টা ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ, সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সটান মন্দিরে, পুজো দিলেন নুসরত


এদিনের বৈঠকে সিবিআই নেতৃত্বের মুখে 'দিদি-মোদি' আঁতাতের প্রসঙ্গও উঠে আসে। দলীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লির বিশেষ সংযোগের জন্যই সিবিআই মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে না। তাই ৫ অক্টোবরের ওই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সিবিআই-এর দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা। প্রয়োজন পড়লে সারারাত ধরে চলবে ঘেরাও অভিযান। 


তবে রাজ্য রাজনীতিতে পরস্পরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় স্তরে, বিরোধী শিবির I.N.D.I.A-র শরিক তৃণমূল এবং সিপিএম। এর ফলে বাংলার মানুষের মধ্য়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে বলে মত সিপিএম নেতৃত্বের। তাই দল যে তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলেরই বিরুদ্ধে, তা বোঝানোও লক্ষ্য সিপিএম নেতৃত্বের। 


লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে থাকা নিয়ে বাংলায় বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সিপিএম-কে। রাজ্যে তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেসকেও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বাংলায় বিরোধিতা, দিল্লিতে বন্ধুত্ব, কোন যুক্তিতে চলতে পারে, তৃণমূলের তরফেও উস্কে দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্ন। সেই আবহে ভেবেচিন্তেই এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।