কলকাতা: সহজ-সরল, নিরামিষ কিছু শব্দ। রোজকার কথায় উঠে আসতেই পারে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে, তাতে রং লেগেছে রাজনীতির। তাই  রাজ্যপালের মুখে তা উচ্চারিত হতেই শুরু হয়েছে চর্চা। সৌজন্য ভাষণেই যদিও ওই শব্দবন্ধ উচ্চারণ করেছেন রাজ্যপাল, কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই তার আলাদা উল্লেখ না করে পারছেন না অনেকেই (Saraswati Puja 2023)। 


রাজ্যপালের  ভাষণই এখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে


বৃহস্পতিবারের ঘটনা। সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে (Raj Bhavan) হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) বাংলা শেখার সূচনা হিসেবেই। সেই হাতেখড়ি পর্ব মিটতেই সৌজন্য ভাষণ দিতে ওঠেন রাজ্যপাল। সেখানে পাতা দেখে বাংলা উচ্চারণে ভাষণ দেন তিনি। তাঁর সেই ভাষণই এখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। যদিও এই আজকের এই ঘটনাকে সে ভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি-র নেতৃত্ব।


বাংলা শিখতে আগ্রহী বলে দায়িত্ব পেয়েই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কলকাতা, বাংলার প্রতি নিবিড় যোগের কথাও তুলে ধরেছিলেন। এ দিন হাতেখড়ির পর তাই সৌজন্য ভাষণে তিনি বলেন, "আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালবাসি। বাংলার মানুষকে ভালবাসি আমি। নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসু মহানায়ক, আমার নায়ক। জয় বাংলা, জয় হিন্দ।"


আরও পড়ুন: C V Ananda Bose: সরস্বতী পুজোয় বাংলায় হাতেখড়ি রাজ্যপালের, অ-আ লিখতে শিখে খুদেকে দিলেন গুরুদক্ষিণা


রাজ্যপাল যখন পাতা দেখে এই ভাষণ পড়ে চলেছেন, সেই সময় দর্শকাসনে বসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। বিজেপি-র 'জয় শ্রীরাম', 'ভারত মাতা কি জয়' ধ্বনির মোকাবিলা করতে, এতদিন মমতা এবং তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের মুখেই 'জয় বাংলা' এবং 'জয় হিন্দ' ধ্বনি শোনা গিয়েছে। তাই রাজ্যপালের শব্দচয়ন নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। 


বাংলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাইছেন রাজ্যপাল, তাই গা জ্বলছে, কটাক্ষ তৃণমূলের


এ নিয়ে বিজোপি নেতা সজল ঘোষের যুক্তি, "রাজ্যপাল অবাঙালি। বাংলা  বোঝেন না উনি। পাতায় যা লেখাছিল, তা আউড়ে গিয়েছেন মাত্র।" তাঁদের মিটিং মিছিলে ওঠা 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিও নিখাদ, নিরামিষ শব্দ, সে কথাও জানিয়ে দেন সজল। তবে বিজেপি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "রাজ্যপাল বাংলাকে ভালবাসছেন, বাংলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাইছেন। তাই গা জ্বলছে।"