প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: সরকারি কোষাগারের টাকা তছরুপের (Money Scam) অভিযোগে জেলা প্রশাসনিক ভবনের কর্মীকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ (Police)। ধৃতের নাম মনোতোষ কর্মকার।


জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি জনগণনা দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। ২০১২সালে তিনি অবসর নিলেও মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই দফতরের ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি দেখতেন তিনি। অভিযোগ প্রায় আট মাস ধরে বেতন তুলছিলেন না তিনি। দপ্তরের আধিকারিকরা বারংবার তাকে বেতন তুলতে বলার পরও তিনি বেতন না তোলায় তাদের সন্দেহ হয়। এর পরই ওই দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোবিন্দ হালদার ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নিয়ে তা জানতে পারেন অ্যাকাউন্ট প্রায় ফাঁকা। অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় ওই কর্মী বেতন তুলছিলেন না।


প্রাথমিকভাবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুমান, সই জাল করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি। গতকালই কোতোয়ালি থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোবিন্দ হালদার। রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এর পাশাপাশি দফতরের ভবনটিকেও সিল করে দেওয়া হয়। ধৃতকে শুক্রবার কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। 


সম্প্রতি সরকারি প্রকল্প ঘিরে দুর্নীতি (Corruption) প্রকাশ্যে এসেছিল কোচবিহারেও। রুপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শীতলকুচি ব্লকের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন  এক যুবতী।সম্প্রতি ও যুবতীর বিয়ে হয় কিন্তু রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা না পাওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর কাছে তার কারণ জানতে চায়, লিটন ঘোষ নামে ওই কর্মী জানায়, '১০ হাজার টাকা দিলে টাকা পাওয়া যাবে।' পাশাপাশি এই কথা জানাজানি হলে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এর পরেই শীতলকুচি ব্লকের ভিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই দম্পতি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও সোফিয়া আব্বাস। যদি অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট কর্মী। 


আরও পড়ুন, 'বিরোধী নেতারাই BJP-র টার্গেট', রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ মমতা-অভিষেকের 


গতবছর একশো দিনের প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল মালদায়। সম্প্রতি ১০০ দিনের প্রকল্প ঘিরে তীব্র তরজা শুরু হয়েছিল তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। একশো দিনের প্রকল্পে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলাও করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিস্থিতিতেই সামনে এল ওই প্রকল্পে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের তীর গিয়েছিল পঞ্চায়েত প্রধান ও কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বাবুপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের।