বর্ধমান : ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। এমনই জানাল এবার মাধ্যমিকে ৬৯৩ নম্বর পেয়ে অন্যতম প্রথম স্থানাধিকারী রৌনক মণ্ডল। এর সঙ্গে সঙ্গে মাধ্যমিকে এই সাফল্যের 'রহস্য'ও তুলে ধরে বর্ধমানের সিএমএস হাইস্কুলের এই কৃতী ছাত্র।
রৌনক জানিয়েছে, টেক্সট বইটা খুঁতিয়ে পড়েছিলাম। যত টেস্ট পেপার ও কোয়েশ্চেন ব্যাঙ্ক আছে সেগুলো করেছিলাম। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে পর্ষদ থেকে যে টেস্ট পেপারটা ছিল, তার পুরোটা শেষ করেছিলাম।
সকাল থেকে অনলাইন রেজাল্ট দেখুন
কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল রৌনক ?
সে জানায়, বাড়িতে বাবা-মা পড়শোনায় সাহায্য করতেন। প্রাইভেট টিউটর ছিল। স্কুলের স্যাররা খুব সাহায্য করেছেন। যখন যা জানতে চেয়েছি, সবই সাহায্য করেছেন তাঁরা। করোনা পরিস্থিতিতেও অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করেছেন। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই। তাই NEET-এর প্রস্তুতি নেব।
পড়াশোনা ছাড়া গল্প বই পড়ে বা বিভিন্ন শিক্ষামূলক ও দেশাত্মবোধক সিনেমা দেখে এবং গান করে সময় কাটিয়েছে রৌনক।
একনজরে এবারের ফলাফল-
আজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ফল প্রকাশ করে জানান, এবছর পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১১ লক্ষ। ছাত্রদের থেকে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১১ শতাংশ বেশি। পাশ করেছে ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন। পাশের হার ৮৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ছাত্রদের পাশের হার ৮৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৫ শতাংশ। পাশের হার সবথেকে বেশি পূর্ব মেদিনীপুরে। ওই জেলায় পাশের হার ৯৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। কালিম্পং, পশ্চিম মেদিনীপুর ও কলকাতায় পাশের হার ৯৪ শতাংশের বেশি। উত্তর ২৪ পরগনায় পাশের হার ৯১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাশের হার ৮৯ দশমিক ০৮ শতাংশ।
এবারের মাধ্যমিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হল। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৭ মার্চ। পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ১৬ মার্চ।