কলকাতা: সংসদের বাইরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে অনুকরণ করা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। সাসপেন্ড হওয়ার পর সংসদের বাইরে মক পার্লামেন্ট বসান বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। সেখানেই ধনকড়কে অনুকরণ করে কথা বলতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর অভিনয় ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা যায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকেও। সেই নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, কলকাতায় বসে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এতে ধনকড়ের অপমানিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে দাবি তাঁর। (Jagdeep Dhankhar Mimicry)


গত কয়েক দিন ধরে সংসদে গণহারে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। সেই আবহেই ধনকড়কে অনুকরণ করা নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কল্যাণ। বিজেপি-র নেতা-মন্ত্রীরা তাঁর কল্যাণ এবং রাহুলের নিন্দায় সরব হয়েছেন যেমন, তেমনই ধনকড় নিজেও গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন। 


কিন্তু এর মধ্যে অপমানজনক কিছু নেই বলে দাবি করেছেন ফিরহাদ। তাঁর বক্তব্য, "এটা কোনও অপমান নয়। সব জায়গাতেই বিরোধীরা এটা করে থাকে। নকল পার্লামেন্ট বসানো হয়। কাউকে অপমান করার জন্য নয়, সংসদের ভিতরে বিচার পাচ্ছি না, তাই মক পার্লামেন্ট বসিয়ে, মানুষের সামনে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয়। এখানে কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে অপমানের পরিসরই নেই।"


আরও পড়ুন: 'অধঃপতনের কোনও সীমা নেই দেখছি', কল্যাণের মিমিক্রি, রাহুলের ভিডিওগ্রাফিতে 'আহত' ধনকড়


ফিরহাদ যদিও বিষয়টিতে অপমানজনক কিছু দেখছেন না, কিন্তু কল্যাণের আচরণ নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। খোদ ধনকড় এদিন রাজ্যসভায় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন, যদিও কল্যাণের চেয়ে রাহুলকেই বেশি বেঁধেন তিনি। কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহের উদ্দেশে বলেন, "দিগ্বিজয়জি মন দিয়ে একটা কথা শুনুন, কিছু ক্ষণ আগে একটি টিভি চ্যামনেলে দেখলাম, অধঃপতনের কোনও সীমা নেই। আপনাদের বড় নেতা, অন্য এক সাংসদের অভব্য আচরণের ভিডিও তুলছিলেন। আপনার চেয়ে অনেক বড় নেতা উনি। আমি শুধু বলব, সদবুদ্ধি হোক।"


 ধনকড় আরও বলেন, "কোথাও তো একটা সীমা থাকবে! কোথাও তো অন্তত বিরত থাকুন! রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং লোকসভার স্পিকারের দফতর পৃথক। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিরোধ হবেই। কিন্তু ভেবে দেখুন, আপনার দলের সিনিয়র নেতা একজনের মিমিক্রির ভিডিও তুলছেন। কী লজ্জাজক ঘটনা, অত্যন্ত বালখিল্য আচরণ, একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। এই অসংসদীয় আচরণে অত্যন্ত আহত হয়েছি আমি।" কিরেণ রিজিজু থেকে পীযূস গয়ালের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। বিজেপি-র সোশ্যাস মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকেও আক্রমণ উড়ে আসছে লাগাতার।