সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগর (Jaynagar)-মজিলপুরে (Majilpur) ডিসিআরসি-র কাছে গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীর দেওয়া ভিডিওয় গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল (TMC), দাবি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী কুমারেশ ঘোষের। অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের দাবি গুলি চলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। একই সঙ্গে পুলিশের দাবি গুলি চলার কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। 


জয়নগর-মজিলপুরে ডিসিআরসির কাছে গুলি চালানোর অভিযোগ! কংগ্রেসের অভিযোগ, গুলি চালিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। কংগ্রেস প্রার্থীর এজেন্টকে মারধর করার অভিযোগে কংগ্রেস ও তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়।


আচমকা তীব্র আওয়াজ। শব্দ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের কানফাটা আওয়াজ। আতঙ্কে প্রাণভয়ে পালালেন এলাকার বাসিন্দারা। ভোট চলাকালীন জয়নগর-মজিলপুরে উঠল গুলি চালানোর অভিযোগ!


কংগ্রেস প্রার্থীর দেওয়া ভিডিওয় ঘিরে তীব্র হয়েছে চাপানউতোর। কংগ্রেসের দাবি, DCRC-র কাছে একাধিকবার গুলি চালানো হয়। ভিডিরওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। কংগ্রেসের অভিযোগ, বুথ দখলের চেষ্টা করে তৃণমূলের বহিরাগতরা। বিরোধীরা প্রতিরোধ করলে গুলি চালানো হয়। 


জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী কুমারেশ ঘোষের কথায়, আমাদের মারধর করে। আমি চলতে আসে বাধ্য হই। ডিসিআরসির সামনে প্রতিরোধ করলে তৃণমূলের বাহিনী গুলি চালাতে শুরু করে। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি। 


জয়নগরের কোথাও গুলি চলেনি বলে দাবি করেছে তৃণমূল। জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস জানিয়েছেন, বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই বলে এমন অভিযোগ করছে। কোথাও বোমা, গুলি চলেনি। অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে।


বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর দাবি, এমন কোনও খবর পাওয়া যায়নি। আমরা ভেরিফাই করছি। এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। 


গুলি চলার অভিযোগ ঘিরে যখন জয়নগরে তুলকালাম কাণ্ড, তখন ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কার্যত হাতাহাতিতে জড়ান কংগ্রেস ও তৃণমূল প্রার্থী! বুথের বাইরে একে অপরের দিকে তেড়ে যান দুই প্রার্থী।


দলীয় এজেন্টকে তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। এমন অভিযোগ পেয়ে ১২১ নম্বর বুথে যান ওই ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সুজিত সরখেল। এরপরই তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। 


জয়নগর মজিলপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের কংগ্রেস কাউন্সিলর সুজিত সরখেল। গত পুরভোটের পর, দলবদলের জেরে একের পর এক পুরসভা হাতছাড়া হলেও, একমাত্র জয়নগরে ছিল কংগ্রেসের বোর্ড।


পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সুজিত সরখেল। আর চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডেই তৈরি হল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নবগোপাল গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কংগ্রেসের লোকেরা গন্ডগোল করছিল। প্রচার করছিল আমরা প্রতিবাদ করি। প্রার্থী নিজের চশমা ভেঙে দিয়ে অভিযোগ করছে। ভোট বানচাল করতে এটা করছে।


শতাধিক পুরসভার ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা।  জয়নগরে DCRC-র কাছে গুলি চলার অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে উঠল তরজা।