কলকাতা: সব জল্পনার অবসান। আসানসোল (Asansol), চন্দননগর (Chandannagar) এবং বিধাননগর (Bidhannagar) - ৩ পুরসভার মেয়রের (Mayor) নাম ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এর আগেই চার পুরসভার ভোটের ফল ঘোষণার দিনই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র হচ্ছেন গৌতম দেব। এদিন দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম জানালেন, বিধাননগরের মেয়র হচ্ছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি অনিতা মণ্ডল, চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। চন্দননগরের মেয়র হচ্ছেন রাম চক্রবর্তী। আসানসোলের মেয়র হচ্ছেন বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি হচ্ছেন ওয়াসিমুল হক, অভিজিৎ ঘটক। পুরভোটে না লড়েই আসানসোলের মেয়র হচ্ছেন বিধান উপাধ্যায়।
চার পুরভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর, এবার মেয়র কে হবেন? তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র হবেন গৌতম দেব। বাকি তিন পুরসভাতে মেয়র কে হবেন? তা পরে দল ঠিক করবে।চার পুরসভার ভোটে তৃণমূলের জয় জয়কার হয়েছিল। তৃণমূল চারে চার হয়েছিল।সবুজ সুনামিতে ধরাশায়ী হয় বিরোধীরা। এরপর থেকে একটাই প্রশ্ন ছিল, বিধাননগর, চন্দননগর ও আসানসোলে মেয়র কে হবেন?
পুর-যুদ্ধে জিতে বিধাননগরের মেয়র হওয়ার দৌড়ে ছিলেন সব্যসাচী দত্ত এবং বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী কৃষ্ণা চক্রবর্তী। কিন্তু শেষপর্যন্ত মেয়র পদে বেছে নেওয়া হল কৃষ্ণাকে।
এদিকে সূত্রের খবর ছিল, আসানসোলের মেয়র হতে পারেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি হলেন ডেপুটি মেয়র। মেয়র করা হয়েছে বারাবনির বিধায়ক ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধান উপাধ্যায়কে।এবার তিনি পুরভোটে লড়েননি।তাই তাঁকে আসানসোল পুরসভার কোনও ওয়ার্ড থেকে জিতে আসতে হবে।আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসানো হল অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়কে।
এর আগেই জানা গিয়েছিল, চন্দননগরের মেয়র হতে পারেন দু’বারের মেয়র রাম চক্রবর্তী। সেই মতো এদিন তাঁর নামই ঘোষণা করেন ফিরহাদ হাকিম।চন্দননগরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতেছে তৃণমূল। বিরোধীরা জিতেছে মাত্র একটি আসনে।