রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ভোটকেন্দ্রেই কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার করার অভিযোগ। জলপাইগুড়ি পুরসভার (Jalpaiguri Municipality) ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জলপাইগুড়ি হাইস্কুলের বুথ থেকে কংগ্রেস প্রার্থী নারায়ণচন্দ্র সরকারকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় পুলিশ। বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, বুথের বাইরে বহিরাগতদের ভিড়। ওই এলাকাতেই দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা ধরম পাসোয়ান। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
কোচবিহারের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধীনগর গার্লস স্কুলে কংগ্রেস প্রার্থী রানা ইশোরের এজেন্টের কার্ড ছিনিয়ে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে ওই ওয়ার্ডের ভোটার ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শুভজিৎ কুণ্ডুর মধ্যস্থতায় কংগ্রেস প্রার্থীর এজেন্টের কার্ড ফেরানো হয়। বুথে ঢুকতে পারেন কংগ্রেসের এজেন্ট।
রাজ্যের ২০টি জেলার ১০৮টি পুরসভায় ভোট। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মোট ওয়ার্ড ২ হাজার ২৭১টি। প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও থাকবেন পুলিশ আধিকারিক। সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোটে ১৪ জন ডিআইজি, ৩ জন এডিজি বা আইজি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন ২০টি জেলায় ভোটের দায়িত্বে। মোতায়েন ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী। এর সঙ্গে থাকবেন ১০ জন আইএএস, যাঁদের সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার করা হয়েছে। অবজার্ভার, স্পেশাল অবজার্ভার, সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার মিলিয়ে মোট ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক রয়েছেন।
পুরভোট শুরু হতেই দিকে দিকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি। কোথাও বাইক বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। কোথাও আবার বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ভোট শুরুর আগেই রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজপুর বিদ্যানিধি স্কুলে ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডব। আতঙ্কে সকালে ভোট দিতে যাননি কোনও ভোটার। বিরোধীদের অভিযোগ, আগের দিন রাত থেকেই এলাকায় হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। সকালে বুথে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। বাম, কংগ্রেস, নির্দল এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় বিরোধীদলের এজেন্টদের। পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।