রানা দাস, সুদীপ চক্রবর্তী, তুহিন অধিকারী, কলকাতা:  (Municipal Election) তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃতদের এবার সরাসরি বিজেপিতে আমন্ত্রণ সৌমিত্র খাঁর (Soumitra Khan)। পদ্ম-শিবিরে যোগ দিয়ে বিজেপির (BJP) হাত শক্ত করার ডাক।সৌমিত্রর মন্তব্যকে গুরুত্বে নারাজ তৃণমূল (TMC)।


নরমে-গরমে পুরোপুরি হয়নি কাজ। পুরভোটের লড়াই থেকে সরে না আসায় দু’দিনে শতাধিক নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। দল চরম বার্তা দিলেও, মচকাচ্ছেন না বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষুব্ধদের নিয়ে তৃণমূলের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা।


ডেডলাইনের পরও যাঁরা লড়াই থেকে সরে দাঁড়াননি, ফের তাঁদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছে তৃণমূল।তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, নির্দলদের বারবার অনুরোধ করছি। সরে না দাঁড়ালে, আগামীকাল জেলার মিটিং আছে বহিষ্কার করা হবে। 


কোথাও হাতজোড় করে অনুরোধ...কোথাও আবার হুঁশিয়ারি। ১০৮টি পুরসভার ভোটে গোঁজ কাঁটা উপড়ে ফেলতে প্রথমে নরমে-গরম রাস্তা নিয়েছে তৃণমূল। অনুরোধ-আবেদনে পুরোপুরি কাজ না হওয়ায়, এবার একেবারে চরম ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল।


শুক্রবার ৭০ জনের পর শনিবার ৩৮ জন নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। মালদার ১৪, উত্তর দিনাজপুরে ১৩, হুগলির ৯ এবং পূর্ব বর্ধমানের ২ বিদ্রোহীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।দু’দিনে শতাধিক বিক্ষুব্ধকে দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি, নির্দলদের পাশে দাঁড়ানোয় বেশ কিছু নেতাকেও বহিষ্কার করেছে শাসক দল। এত সবের পরেও, মচকাচ্ছে না নির্দলদের একাংশ। কালনা থেকে কালিয়াগঞ্জ। কিংবা দুবরাজপুর থেকে ডালখোলা...তৃণমূল প্রার্থীদের হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন বিদ্রোহীরা। কালনা পুরসভার এক প্রার্থী বলেছেন, আমি এখন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নই।  কে বহিষ্কার করল ওই নিয়ে ভাবছি না। বয়স্কদের অনুমতি নিয়ে আমি দাঁড়িয়েছে।


অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ৫ বিক্ষুব্ধ নেতা তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন।


আর এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের গেরুয়া শিবিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি। সাংসদ কথা রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, যাঁরা বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাঁদের বলছি নির্দল নয়, আপনারা বিজেপিতে আসুন। বিজেপির হাত শক্ত করে তৃণমূল পরাস্ত করুন। 


সৌমিত্রকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের জাতীয় সমন্বয়কারী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ওদের দলে তো কেউ নেই। সেজন্য এভাবে কাতর হতে হচ্ছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার ভোট। তার এক সপ্তাহ আগেও দলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে অস্বস্তি কমছে না তৃণমূলে।