ঝিলম করঞ্জাই কলকাতা: অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্য়ায় ভুগছেন? মুঠোমুঠো অ্যান্টাসিড খাচ্ছেন? সাবধান। ওষুধের মধ্য়েই লুকিয়ে বিপদ। অ্য়াসিডিটি ও পেটের সমস্য়ার জন্য ব্য়বহৃত পাঁচটি নিম্নমানের ওষুধের খোঁজ পেয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।
পেটের সমস্য়া এখন ঘরে ঘরে। ভুক্তভোগী ৮ থেকে ৮০। রোগ যেমন ঘরে ঘরে, ওষুধও আছে। কিন্তু, অসুখ সারাতে গিয়ে উল্টে আরও বড় রোগ রোগ বাধাচ্ছেন না তো? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের রিপোর্ট। সম্প্রতি রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের গুণমান পরীক্ষায় ফেল ৫ টি ওষুধ। তালিকায় রয়েছে RANTAC RD ZEORA DSR, RABEPRAZOLE- এর মতো ট্য়াবলেট। এই ওষুধগুলো মূলত অ্যাসিডিটি, পেটের সমস্যা, পেটের ঘায়ের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। বাঙালি সবচেয়ে বেশি যে রোগে আক্রান্ত সেই অ্যসিডিটি আর হজমের সমস্যার সামাল যে ওষুধগুলো নিয়মিত ব্যবহার হয় তার নিম্নমানের ওষুধের খোঁজ পেয়েছে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে রাজ্য় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। তার মধ্য়ে কোচবিহার, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও বর্ধমান জেলা থেকে সংগ্রহ করা পাঁচটি ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় ফেল করে। এর মধ্য়ে তিনটি নিম্নমানের ওষুধের নমুনার প্রস্তুতকারক সংস্থা কলকাতার। বাকি দুটি হিমাচল প্রদেশের। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে খবর, ওই পাঁচটি ওষুধে যে পরিমাণ রাসায়নিক থাকার কথা তা নেই। রাজ্য ড্রাগ কন্টোল বোর্ড ইতিমধ্য়েই সেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগে পাঠিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। মাসখানেক আগেই, দেশজুড়ে গুণমান পরীক্ষায় ফের ফেল করে ১৮৮টি ওষুধ। এর মধ্যে কলকাতার ল্যাবে ফেল করেছে ২৭টি ওষুধ। সেই নিয়ে আতঙ্ক উৎকণ্ঠার মধ্য়েই রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের রিপোর্টে বাড়ল উদ্বেগ।
গত মাসেই ভারতের বাজারে ধরা পড়ে পাকিস্তানের ভেজাল ওষুধ। পাঞ্জাব রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় ফেল করে করাচি, লাহোর এবং মুলতানের সংস্থার তৈরি ৩টি ওষুধ। করাচির হিলটন ফার্মা প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি নার্ভের এবং অ্যানিমিয়ার ওষুধ ফেল করে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায়। মুলতানের ফার্মেডিক ল্যাবরেটরি প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি অনিদ্রা এবং স্নায়ুর যন্ত্রণা উপশমের ওষুধও ফেলের তালিকায় আছে। লাহোরের পালস ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি নার্ভের এবং অ্যানিমিয়ার ওষুধও ফেল করে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায়।