রুমা পাল, কলকাতা: ২ নভেম্বর সর্বদল বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন (WB State Election Commission)। ৯ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। সূত্রের খবর, খসড়া ভোটার তালিকা নিয়েই ২ তারিখের বৈঠকে আলোচনা হবে। ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। এই চূড়ান্ত ভোটার তালিকার ওপর নির্ভর করেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Poll) করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। 


সর্বদল বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন: ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হচ্ছে ৯ নভেম্বর। তার আগে ২ নভেম্বর সর্বদল বৈঠক ডাকল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই খসড়া তালিকা নিয়েই আলোচনা হবে সর্বদল বৈঠকে। এই তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত, অভিযোগ শোনা হবে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংশোধন করা যাবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ৫ জানুয়ারি। সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়েই আগামী বছর হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। 


আগামী বছর কখন হবে পঞ্চায়েত ভোট? দুর্গাপুজো মিটতেই কাঠি পড়ল পঞ্চায়েতের ঢাকে। বেজে গেল পঞ্চায়েতের দামামা। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলেই কি গ্রাম বাংলার সবচেয়ে বড় ভোট হতে চলেছে? এমনটাই খবর সূত্রের। গত পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল মে মাসে। তবে এবার যে পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতে পারে, আগেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, “কাজগুলো ঝটপট করুন, নইলে ইলেকশনে ললিপপ খাবেন। ইলেকশন যে কোনও দিন ঘোষণা হয়ে যাবে।’’


এবার পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য সময়, সামনে আসতেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এবার পঞ্চায়েত ভোট ক’দফায় হবে? ২০১৮ সালে, গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল এক দফাতেই। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী করবে? ক’দফায় হবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া?  গতবছর বিধানসভা ভোটে বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে এসেছিল,  হিংসা হানাহানির ছবি। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। পাঁচ বছর পর, আরেকটা পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ সামনে আসতেই শাসক এবং বিরোধী শিবির নিজের মতো করে তাল ঠুকতে শুরু করেছে।  ২০১৮-র তুলনায় গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন বেড়ে ৬২ হাজার ৩৬২। ২০১৮-র তুলনায় পঞ্চায়েত সমিতির আসন বেড়ে ৯ হাজার ২১৭। ২০১৮-র তুলনায় জেলা পরিষদের আসন বেড়ে ৯২৮টি। 


আরও পড়ুন: Duare Sarkar: ১ নভেম্বর থেকেই রাজ্যে ফের শুরু দুয়ারে সরকার, মিলবে নয়া পরিষেবা