কলকাতা: শীতকালে (Winter) বাতের ব্যথা আরও বেশি করে নাজেহাল করে দেয়। ব্যথা এতটাই কাবু করে দেয় যে, হাঁটাচলাতেও সমস্যা দেখা গিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাতের ব্যথার (Arthritis) সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের নিয়ম এবং পরামর্শ মেনে লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসে অবশ্যই বদল আনা প্রয়োজন। এছাড়াও তাঁরা আর যা যা পদ্ধতি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন, সেগুলো মেনে চলা প্রয়োজন। আর্থরাইটিস এমন এক শারীরিক সমস্যা যা গাঁটের সঠিক চলাচলকে ব্যাহত করে। যেকোনও বয়সের মানুষের মধ্যেই বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতকালে সহজ পাঁচ পদ্ধতি মেনে চললে বাতের ব্যথার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভাব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা-


বাতের ব্যথার ঘরোয়া সমাধান-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে এমনিতেই আমাদের হাঁটাচলায় অলসতা দেখা দেয়। ঠান্ডার কারণে এই সময়টাতে মানুষ জড়োসড়ো হয়ে থাকে। এর ফলে হাড় এবং পেশিগুলির সঞ্চালনও সঠিক হয় না। তাই শীতকালে নিয়মিত শরীরচর্চা করা খুবই প্রয়োজন। তাঁদের মতে, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হাড়, গাঁট এবং পেশির সঞ্চালন সঠিক থাকে। এবং শরীরে এনার্জির মাত্রাও বেশি থাকে। বাতের ব্যথা কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চায় জোর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।


২. শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে বহু মানুষের মধ্যে। এই সময়ে শরীর গরম রাখা খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁরা বাতের ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা গরম জলের শেঁক দিতে পারেন। এছাড়াও হাত-পা গরম রাখতে মোজা পরে থাকারও পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন - শীতের আমেজ আসতেই বাকিদের থেকে বেশি ঠান্ডা লাগতে শুরু করেছে? কোন অসুখের কারণে হচ্ছে এমন?


৩. শরীরের অত্যধিক ওজন বাতের ব্যথার সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। শরীরের সমস্ত ওজনটাই আমাদের কোমর এবং হাঁটুর উপর পড়ে। অতিরিক্ত ওজনের ফলে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে কোমর এবং হাঁটু। তাই বাতের ব্যথার সমস্যা দূর করতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।


৪. ম্যাসেজ থেরাপি বাতের ব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকরী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, সপ্তাহে অন্ত একদিন ম্যাসেজ থেরাপি ব্যবহার করুন। এভাবে টানা ৮ সপ্তাহ ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে ম্যাসেজ করলে বাতের ব্যথার সমস্যা কমবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। শীতকালে হাঁটাচলা কম হওয়ার কারণে এই সমস্যা আরও বেশি করে মাথাচাড়া দেয়। তাই শীতকালে ম্যাসেজ থেরাপি খুবই প্রয়োজনীয়।


৫. জলের কোনও বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমকালের মতো শীতকালেও শরীরে জলীয়মাত্রা বজায় রাখা জরুরি। ঘাম না হলেও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এই সময়ে ডিহাইড্রেশনের মাত্রা বাড়তে দেখা যায়। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে নানা অসুখ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাঁদের মতে, শীতকালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত সারাদিনে ৮ গ্লাস জল খাওয়া প্রয়োজন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।