কলকাতা: মে মাসেই সমুদ্রের জলের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ঘূর্ণিঝড়ের প্রাবল্য বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞরা তাই এই মাসটিকে সাইক্লোন সিজনও বলে থাকেন।  জলীয় বাষ্প যুক্ত পুবালী হাওয়ার জেরেই সাইক্লোন তৈরি হয়। তবে সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়, সেখানে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত থেকে নাকি তৈরি হতে পারে , রাক্ষুসে গতির এক ঘূর্ণিঝড়। তাদের দাবি, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হবে শক্তি । শ্রীলঙ্কা দেওয়া হয়েছে এই নাম। তবে Regional Meteorological Centre (RMC) তেমন কোনও আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।

মৌসম ভবন অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে না। শুধু ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসই নয় নামও প্রচার হয়ে যায়। ‘শক্তি’। বলা হয় শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম এটি। মৌসম ভবন জানিয়েছে তাদের কোনও অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ‘শক্তির’ উল্লেখ নেই। মৌসম ভবন সাফ ও স্পষ্ট জানাচ্ছে, কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরিও হচ্ছে না! কোনও ঘূর্ণিঝড় আসছেও না।                                                             

মৌসম ভবন স্পষ্ট জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে একটি 'সাইক্লোনিক সার্কুলেশন' তৈরি হয়েছে মাত্র। কোনও 'সাইক্লোনিক স্টর্ম' নয়।  ১৩ মে এই 'সাইক্লোনিক সার্কুলেশন'-এর কথাই মৌসম ভবন জানায়, যা ভুলভাবে ব্যাখ্যা হয়েছে বলে দাবি মৌসম ভবনের। মৌসম ভবন স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই 'সাইক্লোনিক সার্কুলেশন' ও 'সাইক্লোনিক স্টর্ম' আবহাওয়াগতভাবে দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।   

অবশ্য এর আগেও আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছিল, এই ঘূর্ণাবর্ত আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, হলেও কতদূর অগ্রসর হবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করা যাবে না। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যদিও আবহাওয়া দফতর  বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখছে। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।                                            

জানা গিয়েছে প্রথমে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর এই সতর্কবার্তা জারি করেছিল, বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়। বিএমডি ঝোড়ো বাতাস সহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও সিলেট এলাকায়।