অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : বর্ষা নিয়েছে বিদায় । হেমন্তের হিমেল হাওয়া উপভোগ করার সময়ে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের কড়া নাড়া। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে নিম্নচাপ। আগামীকাল তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর মনে করছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই একটু একটু করে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে উপকূলে। বুধবার থেকে শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে । উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই চলবে বৃষ্টি। মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সোমবার থেকেই সমুদ্রে নামতে নিষধ করা হচ্ছে পর্যটকদের। বিশেষত পুরীতে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে ।
মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট হয়েছে নিম্নচাপ। আর কিছুক্ষণেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবার প্রবল সম্ভবনা। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ধেয়ে আসবে ওড়িশা-বাংলা উপকূলের দিকে। বুধবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড় হলে নাম হবে ডানা। কাতারের দেওয়া নাম।
এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার। মঙ্গলবার সন্ধে থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি ল্যান্ডফল হতে পারে। ল্যান্ডফলের সময় এটি সিভিআর সাইক্লোনিক স্ট্রম হয়ে উঠবে। অর্থাৎ অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে এটি। তখন এর নাম হবে দানা। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা যতটুকু নিশ্চিত হতে পেরেছেন, তাতে ওড়িশা উপকূলের পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝে কোথাও ল্যান্ডফল হবার প্রবল সম্ভাবনা।
ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। মঙ্গলবারের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। বৃহস্পতিবার উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার বিকেল বা রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলে হালকা ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন :
আজই তৈরি হতে পারে অতি গভীর নিম্নচাপ ! কখন শুরু 'দানা'র তাণ্ডব? বঙ্গের কোন জেলায় প্রভাব সবথেকে বেশি?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে