কলকাতা: মমতাকে আরেকবার মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) করেই ছেড়ে দেব রাজনীতি। সিউড়ির মঞ্চ থেকে এবার ঘোষণা বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির। অন্যদিকে বীরভূম জেলা তৃণমূলের রাশ কার হাতে থাকবে এই নিয়ে ফের প্রকাশ্যে চলে এল অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখের দ্বন্দ্ব।
কী বললেন অনুব্রত মণ্ডল?
দুর্গাপুজো কাটতেই রাজনীতির সেকেন্ড ইনিংস শুরু করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তার দিন কয়েকের মধ্যে রাজনীতি ছাড়ার কথাও উঠে এল তাঁর মুখে। দিলেন একসঙ্গে চলার বার্তাও। এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "আমরা কেউ ঝগড়াঝাঁটি করব না। আমরা সবাইকে নিয়ে চলব। আমরা দলটা আরও বৃদ্ধি করব। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলছিলেন, নুরুল নাকি বলেছে ছেড়ে দেব। আমি নুরুলকে বলব, আরেকবার দিদিকে মুখ্যমন্ত্রী করে দে; তারপর ছাড়লে একসঙ্গে ছাড়ব। দুই বন্ধু মিলেই ছাড়ব। এখন ছাড়ার কোনও প্রশ্ন নেই।''
এদিকে মিষ্টিমুখের বিজয়া সম্মিলনীতেও মুছল না তিক্ততা। রামপুরহাটেও অনুব্রত মণ্ডলের বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিলেন না কাজল শেখ। সকালে রামপুরহাটে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেননি কাজল। তবে বিকেলে, রামপুরহাটেই সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। যদিও অনুব্রত মণ্ডলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দেখা গেছে, কোর কমিটিরই ৪ জন সদস্যকে। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ ঘোষ। এপ্রসঙ্গে অবশ্য কাজল শেখ জানিয়েছেন, "সরকারি, প্রশাসনিক কাজে বিভিন্ন সময় ব্যস্ত থাকি। যার জন্য অনুষ্ঠানে যেতে পারছি না। কিন্তু আমাদের যারা কোর কমিটির সদস্য আছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই যাচ্ছেন।''
অনুব্রত মণ্ডল থেকে তিহাড় থেকে ফেরতের পরই কার্যত দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বীরভূমে তৃণমূলের অন্দরেই। এদিকে শনিবার নানুরে কাজল শেখের ডাকা বিজয়া সম্মেলনীতে আবার বীরভূমের দুই তৃণমূল সাংসদকে দেখা যায়নি। নানুরের বিধায়ক ছাড়া বীরভূমের অন্য কোনও কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়কও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।