কলকাতা: হালকা হলেও এর মধ্যেই ফ্যান চলতে শুরু করেছে মহানগরে। তবে সকালের দিকে শীত শীত ভাব এখনও পুরোপুরি যায়নি। এর পর কেমন কাটবে কলকাতার দিন?

আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকার কথা।  গত কাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Lowest temperature for the day in Kolkata) ছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিক। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (Highest Temperature For the Day In Kolkata) , এটি স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। গত কাল সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। গত পরশু সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গত কাল সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোনও বৃষ্টি হয়নি।   

বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather): সাধারণ ভাবে মনে করা হয়, অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা সফরের সেরা সময়। বছরের এই পর্বে কলকাতার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ থাকে। বিশেষ করে ডিসেম্বর-জানুয়ারি কলকাতার আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম। সকালের দিকে মিঠে রোদ, বেলা পড়লেই শীতের হালকা শিরশিরানি এই সময়ের অন্যতম চেনা ছবি। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাধিক উৎসবের আসর বসে 'সিটি অফ জয়'-এ। মার্চ থেকে বসন্তের আমেজ। এপ্রিল-মে প্রখর গ্রীষ্মের পর বর্ষা ঢোকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে। তার পর অগাস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি। সেপ্টেম্বরেও বেশ গরম থাকে মহানগর, যদিও সাময়িক ঝড়বৃষ্টি মাঝেমধ্যে তাতে রেহাই দেয়।
  








ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার।


আবহাওয়া ও স্বাস্থ্য...
সাধারণ ভাবে শীতের সময় বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নতুন করে দেখা দিতে চায়। যেমন, বিভিন্ন ধরনের ব্যথা, শ্বাসযন্ত্রের সঙ্গে জড়িত কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা। এবার নতুন করে চিন্তার কারণ বাড়িয়েছে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ। ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে দেখা যায়, দেশের নানা প্রান্তে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ। তার উপর ডেঙ্গি, ম্য়ালেরিয়ার মতো কিছু সমস্যা মহানগরের বাসিন্দাদের কাছে অজানা নয়। সঙ্গে জ্বর, সর্দি, কাশি উপসর্গ-সহ অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণ তো রয়েছেই। সব দেখএ রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্‍সকরা। প্রয়োজনে অবিলম্বে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়াও জরুরি, মনে করাচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন:নেই রক্ষণাবেক্ষণ, বাড়ছে না বেতন, জননী সুরক্ষায় বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাতেও অভিযোগ