সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : আগামী রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলবে (Rain Update)। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গেও। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ (Depression) অবস্থান করছে করছে দক্ষিণ-পূর্ব ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন এলাকার ওপর। রাজ্য থেকে বেশ কিছুটা দূরে চলে যাওয়ায় কমবে বৃষ্টির। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Metrological Department) পূর্বাভাস, আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে (South Bengal Weather)।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (North Bengal Weather)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হবে দার্জিলিং কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কলকাতায় মেঘলা আকাশ এবং দফায় দফায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ কয়েক পশলা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ২৪ তারিখ থেকে বৃষ্টি কমবে।
ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার জেরে গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বৃষ্টি। ভাদ্রের শেষে ধারাপাতের রেশ জারি রয়েছে আশ্বিনের শুরুতেও। নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাওয়ায় বৃষ্টির রেশ আগামী কয়েকদিনে কিছুটা কমবে বলেই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি ও সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলায় আশ্বিনেও বাংলার আকাশে মেঘের ঘনঘটা রয়েছে। বৃষ্টির রেশ আগামী কয়েকদিনে কমলেও উপকূল ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, পুজোর আর একমাসও বাকি নেই। জোরকদমে পুজোর শপিংয়ের জন্য বাড়তি ভরসা ছুটির দিনগুলো। তাই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা দেখার অপেক্ষায় বঙ্গবাসী। বৃষ্টির রেশ কমার পর পুজো প্রস্তুতিতে হাওয়া লাগবে বলেই প্রত্যাশা সকলের।
কলকাতায় আজ দিনভর ছিল মেঘলা আকাশ। সকাল থেকে দফায় দফায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ কয়েক পশলা মাঝারি বৃষ্টির চলেছে। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮৬ থেকে ৯৮ শতাংশ। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৪.৮ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন- নেই কোনও ওষুধ, অত্যন্ত বেশি মারণ ক্ষমতা, নিপা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগে চিকিৎসকরা