বাঁকুড়া: পুজোর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এটি গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। আপাতত এই সিস্টেম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম দিক ছেড়ে এটি ক্রমশ বাঁক নিয়ে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশের দিকে এগোবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার থেকে হাওয়া বদল। সোমবার অর্থাৎ নবমীর দিন উপকূলের জেলায় মেঘলা আকাশ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
ভৌগলিক অবস্থান (Bankura Geographical Location): পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তর্গত একটি শহর। এই শহর বিষ্ণুপুর শহর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থান। প্রাচীন যুগে বাঁকুড়া জেলা ছিল রাঢ় অঞ্চলের অধীনস্থ। বাঁকুড়া জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর বিভাগের অন্তর্গত পাঁচটি জেলার অন্যতম একটি জেলা। এই জেলার উত্তরে ও পূর্বে বর্ধমান, দক্ষিণে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ-পূর্ব হুগলি এবং পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা। দামোদর নদ বাঁকুড়া ও বর্ধমান জেলাদুটিকে পৃথক করেছে। জেলার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত। পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। এই অঞ্চলে স্থানে স্থানে ছোটোখাটো টিলা দেখতে পাওয়া যায়। দামোদর নদ এই জেলার উত্তর সীমানা দিয়ে বয়ে গেছে।
আপেক্ষিক জলবায়ু: বাঁকুড়ার গ্রীষ্মে খুব উষ্ণ জলবায়ু এবং শীতকালে ততটাই শীতল তাপমাত্রা থাকে। বৃষ্টিপাত বেশিরভাগ জুন থেকে সেপ্টেম্বর এবং বার্ষিক পরিমাণ প্রায় ১৫০০ মিমি মধ্যে হয়। ২০১৯-এ এই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ জানুয়ারি ২০১৩-তে ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়া গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুর অন্তর্গত। চরমতম আবহাওয়া থাকে এই জেলায়। গ্রীষ্মকালে যতটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়, শীতকালেও তেমন তাপমাত্রার পারদ পতন হয়।
বাঁকুড়ার আজকের আবহাওয়া (Bankura Weather):
বাঁকুড়ায় আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে সর্বাধিক ৬৯ শতাংশ, ন্যূনতম ৪৬ শতাংশ।
অন্যান্য
সূর্যোদয়-ভোর ৫.৪০
সূর্যাস্ত- বিকেল ৫.১০
চন্দ্রোদয়- বিকেল ১২.৪২
চন্দ্রাস্থ- ১১.৩৭
বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather)
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এর অভিমুখ হবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন উপকূল। বাংলাদেশের পশ্চিমভাগে না পূর্বভাগে যায় তার উপর নির্ভর করছে আমাদের রাজ্যে বৃষ্টি ও ঝড়ের পরিমাণ কতটা বাড়বে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণা বাতাসে ভর করে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে। সমুদ্র উত্তল হবে উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আপাতত এই গভীর নিম্নচাপ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলার দীঘা থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।