হাওড়া: আজ হাওড়া জেলার (Howrah District) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Minimum Temperature) ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Highest Temperature) ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে বাতাস বইবে। গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার। সকালে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৫২ শতাংশ। হাওড়ার আকাশে আজ দিনের বেশিরভাগ সময়েই ভাঙা মেঘ দেখতে পাওয়া যাবে। আজ হাওড়ায় সূর্যোদয় (sunrise) হয়েছে ভোর ৫টা ০১ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত (sunset) হবে সন্ধে  ৬টা ০৫ মিনিটে।


আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে (Weather Forecast) জানানো হয়েছে, হাওড়ায় এদিন আকাশে চড়া রোদ উঠবে। মেঘের দেখা মিলবে না বললেই চলে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকতে পারে ১২ শতাংশ। পূর্ব- দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে বাতাস বইবে। ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে । কাল সকালে হাওড়ায় সূর্যোদয় হবে ৫টা ০০ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধে ৬টা ০৫ মিনিটে।  


পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হল হাওড়া। এই জেলায় দু’টি মহকুমা, হাওড়া সদর ও উলুবেড়িয়া। কলকাতার (Kolkata) পাশের শহর হল হাওড়া। দুই শহরের মাঝে গঙ্গা। হাওড়া জেলার পূর্বে কলকাতা, উত্তরে হুগলি জেলা, দক্ষিণ দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। প্রাচীন জনবসতি হাওড়া শহরের ইতিহাস সুপ্রাচীন। একসময় বাণিজ্য নগরী হিসেবে পরিচিত ছিল হাওড়া। পরে এই শহর শিল্পনগর হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।


আরও পড়ুন: Medinipur Weather: মেদিনীপুরে ফিরে আসছে রোদের তাপ, বাড়ছে গরম, বিদায় নিল বৃষ্টি?


হাওড়ার অন্যতম আকর্ষণ হল বেলুড় মঠ (Belur Math), শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন (Shibpur Botanical Garden), যা এখন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান হিসেবে পরিচিত। এছাড়া হাওড়া ব্রিজ, হাওড়া স্টেশন দ্বিতীয় হুগলি সেতু, সাঁতরাগাছি ঝিলও হাওড়ার আকর্ষণ। হাওড়া জেলার প্রধান নদী গঙ্গা। এছাড়া রূপনারায়ণও হাওড়ার গ্রামীণ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান নদী। এই শহরে রয়েছে আরও অনেক ঐতিহ্যশালী জায়গা। আপনার নিজের এলাকার আবহাওয়া সম্পর্কে জেনে রাখলে তাতে আপনারাই উপকৃত হবেন।


কলকাতার পাশের শহর হওয়ায় হাওড়ায় গঙ্গার ওপারের আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে। আবার এই জেলার গ্রামীণ অঞ্চলে হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে।